Advertisment

জামিনে মুক্তি রোনাল্ডিনহোর, ধন্যবাদ জানালেন বাকি জেলবন্দিদের

সুপারস্টার ১.৩ মিলিয়ন ইউরো বন্ড জমা দিয়ে তবে মুক্তি পেয়েছেন। তার আগে রোনাল্ডিনহো ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে ঢোকার অভিযোগ উঠেছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL
চলতি মাসের শুরুতেই প্যারাগুয়ের জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন রোনাল্ডিনহো। তারপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে জানিয়ে দিলেন, তাঁর বাড়িতে যেভাবে ভুয়ো পাসপোর্ট পাঠানো হয়েছে তাতে তিনি স্তম্ভিত।
Advertisment
৩২ দিন কারাবন্দি থাকার পর রোনাল্ডিনহো ছাড়া পেয়েছিলেন জেল থেকে। ভুয়ো পাসপোর্ট থাকার কারণে রোনাল্ডিনহো প্যারাগুয়েতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তারপরেই ৬মাসের জেল হয় মহাতারকার।
৪০ বছরের এই সুপারস্টার ১.৩ মিলিয়ন ইউরো বন্ড জমা দিয়ে তবে মুক্তি পেয়েছেন। তার আগে রোনাল্ডিনহো ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে ঢোকার অভিযোগ উঠেছিল। ২০০৫ সালে ব্যালন ডিওর ও প্রাক্তন বার্সেলোনা তারকাকে অসুনসীয়ন জেলে রাখা হয়। প্যারাগুয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জামিন না দিয়ে বাড়িতে ঘরবন্দি থাকার শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছিল সেই সময়।
প্যারাগুয়ের সংবাদপত্র এবিসি কালার কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডিনহো জানিয়েছেন, "আমাদের নথি যে ভুয়ো তা জানতে পেরে ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিয়মমাফিক কাজ করা। প্রথম থেকেই সহযোগিতা করে নিজেদের অবস্থা আমরা জানিয়েছি। যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তার জবাব দিয়েছি।"
পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন, "কখনও ভাবতেই পারিনি এমন অবস্থায় মধ্যে আমাকে পড়তে হবে। সারা জীবন ধরে পেশাদার হওয়ার প্রয়াস চালিয়েছি। এবং ফুটবল খেলে বাকিদের আনন্দ দিতে চেয়েছি।"
কারাবন্দি থাকা অবস্থায় মহাতারকা ফুটবলারকে দেখা গিয়েছিল অন্যান্যদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে। সেই কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, "জেলের মধ্যে যাঁরাই আমার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। এই সময়েও ফুটবল খেলেছি, অটোগ্রাফ দিয়েছি, ছবি তুলেছি। এগুলো না করার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে যাঁরা আমার মতই কঠিন সময় কাটাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে তো বটেই।"
প্যারাগুয়ে সরকারের উদ্দেশে কিংবদন্তির বার্তা, "আমরা যা তথ্য জানিয়েছি, আশা করি প্যারাগুয়ে সরকার সেগুলো যাচাই করে আমাদের এই অবস্থা থেকে যত শীঘ্র সম্ভব বের করে আনবে।"
২০১৫ সালে শেষবার পেশাদারি ফুটবলে অংশ নিয়েছিলেন রোনাল্ডিনহো। তারপর বিভিন্ন বাণিজ্যিক টুর্নামেন্টে বিশ্বজুড়ে খেলতেন তিনি। প্যারাগুয়েরই এক ক্যাসিনো মালিকের আমন্ত্রণে খেলতে এসেছিলেন তিনি। ঘটনা হল, ব্রাজিলিয়ানদের প্যারগুয়েতে প্রবেশ করতে কোনো ভিসা লাগে না। তা সত্ত্বেও ভুয়ো নথির কবলে কীকরে পড়লেন রোনাল্ডিনহো, সেটাই প্রশ্ন সব জায়গায়।
brazil Ronaldinho
Advertisment