গত মঙ্গলবার রাতে ফুটবল গ্রহের দুই সেরা নক্ষত্র চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরীক্ষায় বসেছিলেন। লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দিকে চোখ ছিল আপামোর ফুটবল দুনিয়ার। একজন স্টার মার্কস নিয়ে পাশ করলেন। আরেকজন ফেল করে গেলেন।
মেসি জোড়া গোল করেই বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তুললেন। অথচ সিআর সেভেন গোল করেও পারলেন না জুভেন্তাসের বৈতরণী পার করাতে। জুভেন্তাস প্রথম লেগে আজাক্সের মাঠে কষ্টার্জিত ড্র করেছিল। সিআর সেভেনের হাত ধরেই তারা স্বপ্ন দেখেছিল শেষ চারে ওঠার।
আরও পড়ুন: মেসির হাসির রাতে রোনাল্ডোকে কাঁদালেন ফুটবল বিধাতা
আপামর জুভেন্তাসের ফ্যানেরা ভেবেছিলেন যে টুর্নামেন্টের সম্রাট তাঁদেরকে ঘরের মাঠেই জয় এনে দেবে। ম্যাচের ২৮ মিনিটে রোনাল্ডোর গোলে জুভেন্তাস এগিয়ে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আজাক্স শেষ পর্যন্ত ২-১ জিতেই ১৯৯৬-৯৭ সালের পর ফের একবার টুর্নামেন্টের শেষ চারে উঠল।
ম্যাচের পর চোখের জলেই মাঠ ছেড়েছিলেন রোনাল্ডো। হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর মা মারিয়া ডলোরেস ডস স্যান্টোস অ্যাভিওরোর কাছে। আজাক্সের কাছে হারের পর রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর মা'র কথোপকথন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল একাধিক স্প্যানিশ মিডিয়ায়। ডলোরেস বললেন, "ম্যাচের পর রোনাল্ডোর আমার কাছে এসেছিল। ওর মন অত্যন্ত খারাপ ছিল। ভীষণ ভাবে ফাইনালে যেতে চেয়েছিল এবার। আমাকে বলল, মা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু মিরাকেল করতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করে দিও।"
শেষ তিন বছর টানা রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছিলেন সিআর সেভেন। চেয়েছিলেন টানা চতুর্থবার ও মোট ছ'বার এই খেতাবে নিজের হাত স্পর্শ করাতে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা থেকে বেরিয়ে গেলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে। সেই ২০০৭ সাল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলছেন রোনাল্ডো। শুধুমাত্র ২০১০ সালে পারেননি তিনি। আবার ২০১৯-এ রোনাল্ডোর জায়গা হলো না এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে।