আইপিএলে খেলতে নেমে শূন্য করেছিলেন। সেইজন্য তাঁকে চড় হজম করতে হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস মালিকের কাছে। এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগে এবার হৈচৈ ফেললেন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলের সদ্য অবসর নেওয়া সুপারস্টার রস টেলর। নিজের আত্মজীবনী ‘রস টেলর: ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট’-এ তিনি জানিয়ে দিয়েছেন মোহালিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে শূন্য রানে আউট হতেই তাঁর গালে নেমে এসেছিল মালিকের চড়।
নিজের বইয়ে টেলর লিখেছেন, “রাজস্থানের সঙ্গে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচ ছিল মোহালিতে। ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে আমরা মোটেই ধারেকাছেও পৌঁছতে পারিনি। আমি লেগ বিফোর হয়ে যাই শূন্য রানে। সেই ম্যাচের পরে টিম ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফ হোটেলের টপ ফ্লোরের বারে ছিল। ওয়ার্নির সঙ্গে লিজ হার্লিও ছিলেন। এমন সময়ে রাজস্থান রয়্যালসের এক মালিক আমাকে বলেন, ‘রস তোমাকে মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে শূন্য করার জন্য নয়।’ এরপরে উনি আমাকে তিন-চারবার চড় মারেন। মোটেও সেগুলো সজোরে চড় ছিল না। উনিও হাসছিলেন। তবে পুরোটাই প্লে এক্টিং ছিল কিনা, এখনও নিশ্চিত নই।”
আরও পড়ুন: শিখ, ভারতীয় আর্মিকে অসম্মান লাল সিং-য়ে! আমিরের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন ইংরেজ স্পিনারও
“সেই সময়ে সেই ইস্যুতে শোরগোল ফেলতে চাইনি। তবে পেশাদারি ক্রীড়া জগতে এমনটা ঘটবে, এমনটাও ভাবতে পারিনা কখনও।”
আইপিএল কেরিয়ারের শুরুর দিকে রস টেলর রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে খেলেছিলেন তিনি। ২০১১-য় রাজস্থান রয়্যালস এক মিলিয়ন ডলারে নিলাম থেকে কিনে নিয়েছিল কিউই তারকাকে। পরে যদিও রস টেলর স্বীকার করে নেন, রাজস্থানের থেকে আরসিবিই তাঁর পছন্দের ছিল।
রস টেলর জানিয়েছেন, “বড় অঙ্কের অর্থ পাওয়ার পর যে কেউ নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবে যে সে সেই অর্থ পাওয়ার যোগ্য। আর যাঁরা বিশাল অর্থ খরচ করছেন, তাঁরাও সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের কাছ থেকে পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করবেন, এমনটাই পেশাদারি ক্রীড়া জগতে এমনটাই স্বাভাবিক। আরসিবিকে সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দিয়েছি। যদি আমার ব্যাটে রান না থাকে, তাহলে ম্যানেজমেন্ট আমার অতীত পারফরম্যান্স দেখে ভরসা রেখেছিল। তবে নতুন কোনও দলে যোগদান করলে, সেই ব্যাকিং পাওয়া যায় না। কখনই এমন পরিবেশে স্বস্তিতে থাকা যায় না। কারণ যে কোনও ক্রিকেটারই অনুভব করবে, ২-৩ ম্যাচে খারাপ পারফরমেন্স মানেই শীতল চাহনি জরিপ করতে থাকবে।”
রস টেলর সামোয়া উপজাতির। নিজের দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ারে একাধিকবার বর্ণবিদ্বেষের মুখেও পড়েছেন, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি নিজের আত্মজীবনীতে। এতে চাপে পড়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটও।