বিশ্ব ডোপ বিরোধী সংস্থা (ওয়াডা) চার বছরের জন্য় রাশিয়ান অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে সব রকমের বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট থেকে নির্বাসিত করল। যার ফলে ২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ব স্পোর্টসের কোনও মেজর টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া।
২০২০ টোকিও অলিম্পিক, ইউরো কাপ, ২০২১-এ মার্কিন মুলুকে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপ, ২০২২ বেজিং অলিম্পিক ও ফুটবল বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে।
দেখতে গেলে রাশিয়ার সামনে এটা নতুন সমস্য়া। এতদিন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নামার ক্ষেত্রে তাঁদের নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সোমবার সুইজারল্য়ান্ডের লুসানেতে অনুষ্ঠিত ওয়াডার এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে ঘটনার মোড়ই ঘুরে গেল পুরোপুরি।
ওয়াডার মুখপাত্র জানাচ্ছে যে, রাশিয়া ডোপিং বিষয়ক যে সব তথ্য় তুলে দিয়েছে সেখানেও রয়েছে নান অসঙ্গতি ও অস্বচ্ছতা। ওয়াডা রাশিয়াকে বলেছিল মস্কোতে তাদের যে, ডোপ বিরোধী ল্য়াবরেটরি রয়েছে, তা আদৌ ওয়াডার সমস্ত নিয়ম মেনে চলে কিনা তার প্রমাণ দিতে হবে। একাধিকবার সেই সময়সীমা লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া। ডোপিংয়ের ঘটনা লুকিয়ে দেওয়ার জন্য়ই নথি বিকৃত করে ভুয়ো তথ্য়ই পাঠানো হয় ওয়াডাকে। এদিন সর্বসম্মতি ক্রমেই রাশিয়াকে নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াডা।
ওয়াডার কর্তারা একাধিকবার মস্কোতে গিয়ে রাশিয়াকে ডোপিংয়ের বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্য়র্থ হয়েছে। একাধিক বার সতর্ক করা সত্ত্বেও ডোপিংয়ের বিষয় প্রয়োজনীয় কোনও পদক্ষেপই নেয়নি রাশিয়া। ফলে বাধ্য় হয়েই ওয়াড়া চূড়ান্ত রায় শুনিয়ে দিল।
২০১৬ সালে সোচিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত ডোপিংয়ের অভিযোগ এনেছিল ওয়াডা। রাষ্ট্রীয় মদতেই রুশ অ্যাথলিটরা ডোপিংয়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া থেকে নির্বাসিত করা হয়। পরে শর্তসাপেক্ষে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
Read full story in English