/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/1592982908307_1-LEAD.jpg)
ভয়ঙ্কর রকমের সাদৃশ্য। সেই মিল খুঁজেই রাস্তা হোক বা বাজার- গোটা দেশে দ্বিতীয় শচীন নামেই বিখ্যাত বলবীর চাঁদ। শেষ তিন বছর তাঁকে নিয়ে হাজার হাজার কালি, প্রিন্ট খরচ হয়েছে। স্রেফ কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে সাদৃশ্যের কারণে।
সেই জনপ্রিয় বলবীর চাঁদ অবশ্য এখন একদমই ভাল নেই। করোনা অতিমারীর আবহে কার্যত দুবেলা দু মুঠো খাওয়াই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর কাছে।
বুধবার হিন্দুস্তান টাইমস এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাঁকে নিয়ে। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, "ওদের (গোলি বড়া পাও, চাঁদ যে দোকানে কাজ করেন তার মালিক) ব্যবসা ক্ষতি হওয়ার পর অনেক কর্মীকেই ছাড়িয়ে দিয়েছে। আমাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে পরিস্থিতি উন্নতি হলে আমাকে ফের ডেকে নেবে।"
৫০ বছরের এই বলবীর জুন মাসের ১০ তারিখে পাঞ্জাবের সহলোন গ্রামে যান। তারপরেই বলবীর সহ তার পরিবারের সদস্যদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সবাইকে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে বেরোনোর নির্দেশ পেয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সালে সুনীল গাভাস্কার যখন কমেন্ট্রি বক্সে আমন্ত্রণ জানান শচীনের এই লুক এলাইককে, তারপর গোটা দেশেরই পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। সেই ঘটনা স্মরণ করে বলবীর বলছিলেন, "সেদিন তাজ হোটেলে শচীনের সঙ্গে আমাকে সাক্ষাৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া ছটা ছবিতে অটোগ্রাফের জন্য আবদার করি। সেই ছবিতে স্বাক্ষর করার সময় আমি শচীনকে বলি এগুলো আমার ছবি, আপনার নয়। তা শুনে চমকে যায় শচীন।"
শচীন যখন ক্রিকেট কেরিয়ারের তুঙ্গে তখন ক্রিকেটারের সঙ্গে একাধিক বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে বলবীর চাঁদকে। এমআরএফ, তোশিবা, রেনল্ডস- যে কোম্পানিতে এন্ডোর্স করতেন শচীন সেখানেই মুখ দেখিয়েছেন তিনি। এমনকি অসম্ভব সাদৃশ্যের কারণে বলবীর বলিউড সিনেমাতেও নামেন। মুম্বইয়ে দোকানের উদ্বোধন হোক বা রেস্টুরেন্ট লঞ্চ- বলবীরের হাতেই হত উদ্বোধন। তাঁকে ঘরে শচীন ভক্তদের উন্মাদনাও ছিল চোখে পড়ার মত।
এসব ছাড়াও নির্বাচনী প্রচারেও ভারতের জাতীয় দলের জার্সিতে প্রচার করেছেন একাধিক দলের হয়ে। তিনি কাজ হারিয়ে হতাশ হয়ে বলছিলেন, "শচীনের মুখের সঙ্গে সাদৃশ্য আমাকে অনেক খ্যাতি এনে দিয়েছে। তবে অর্থ দেয়নি। তবে আমিও গান লিখতে, গাইতে পারি। নিজের প্রতিভা দেখানোর চেষ্টা করব এবার। আশা করি ফের আমি কাজ ফিরে পাব। সেইসঙ্গে ফিরবে আমাকে নিয়ে উন্মাদনাও।"
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us