Advertisment

হ্যান্ডশেক নয়, মোদিকে হাতজোড় করে নমস্তের সওয়াল শচীনের

ইন্দোরের তাঁতপট্টি বখল এলাকায় পাঁচ জন চিকিৎসকের দলের উপর ইঁট ছোঁড়া হয়। এতে দুই মহিলা চিকিৎসক আহত হয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১৪ দিনের লকডাউনই শেষ নয়। তারপরেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এলিট ক্রীড়াবিদদের ভিডিও কলে সাক্ষাতের নির্যাস এমনটাই, জানাচ্ছেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর।

Advertisment

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কি বিষয়ে আলোচনা হল, তা জানাতে গিয়ে শচীন বলেন, "১৫ এপ্রিলের পরেও আমাদের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই সময়টা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।"

দেশের আমজনতার মতোই শচীন আপাতত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন। তিনি এদিন বলেন, "প্রধানমন্ত্রীকে নিজের মতামত জানিয়েছি। হ্যান্ডশেক করার পরিবর্তে হাতজোড় করে নমস্তে বলার কথা জানিয়েছি। মহামারী পর্বের পরেও এই প্রথা ধরে রাখা উচিত।"

শচীন, বিরাট, সৌরভের মতো ক্রিকেট নক্ষত্রদের পাশাপাশি এই ভিডিও কলে ছিলেন পিভি সিন্ধু, হিমা দাসরাও।

জানা গিয়েছে, এই আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পিটি ঊষা, পুলেল্লা গোপীচাঁদ, বিশ্বনাথন আনন্দ, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, বজরং পুনিয়া, গৌতম গম্ভীর, মেরি কম, রোহিত শর্মা, যুবরাজ সিং, চেতেশ্বর পূজারার মতো তারকারাও।

এদিকে, সারা দেশে লকডাউনের মধ্যেই পুলিশ এবং চিকিৎসকরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দুই ক্রীড়াবিদ- স্প্রিন্টার হিমা দাস ও ফুটবল কিংবদন্তি বাইচুং ভুটিয়া। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে দুজন সরাসরি নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেন। দেশের তারকা স্প্রিন্টার হিমা দাস নিজেও আসাম পুলিশের ডিএসপি। অন্যদিকে, বাইচুং ভুটিয়া দোষীদের শাস্তির দাবি জানালেন প্ৰধানমন্ত্রীর কাছে।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী যে ৪০ জন ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে ভিডিওকলে আলোচনা সারলেন তাঁদের মধ্যেই ছিলেন হিমা ও বাইচুং।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হলো? হিমা দাস পরে একটি ভিডিও শেয়ার করে জানিয়েছেন, "করোনা মোকাবিলায় দেশের সরকারের পক্ষ থেকে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে উনি বলেছেন। লকডাউনের সময় আমরা কী করছি, কীভাবে বাড়ির মধ্যে থেকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলছি আমরা সেই বিষয়ে ওঁকে জানানো হয়।"

এরপরে ইন্দোর ও গাজিয়াবাদের ঘটনা পুলিশকে অমান্য করার ঘটনা উল্লেখ করে হিমা নিজের ভিডিওতে বলেছেন, "আর যে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমি জানিয়েছি তা হলো যে পুলিশ ও চিকিৎসকরা কর্তব্য করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের জন্য খারাপ লাগছে। এঁরা লকডাউনের নিয়ম মানছে না।"

ইন্দোরের তাঁতপট্টি বখল এলাকায় পাঁচ জন চিকিৎসকের দলের উপর ইঁট ছোঁড়া হয়। এতে দুই মহিলা চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এতে গোটা দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।
দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করে বাইচুং আবার টুইটারে লিখেছেন, "করোনা চিকিৎসা করতে গিয়ে যারা চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ চালালো তাঁদের করা শাস্তি দাবি জানিয়েছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।"

এই হামলার পরেই পুলিশ সাতজন অভিযুক্তকে আটক করেছে। জেলা প্রশাসন দোষীদের উপর এনএসএ ধারায় দোষীদের উপর মামলা দায়ের করেছে।

এশিয়ান গেমসে দেশের সোনাজয়ী রিলে দলের সদস্য হিমা দাস ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে ঘরে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "২১ দিনের লকডাউন এবং যতদিন ভাইরাসের প্রকোপ না দূর হয় ততদিন লোকজনের উচিত ঘরবন্দি থাকা। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে।"

বাইচুং আবার স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বার্তা দিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

narendra modi Baichung Bhutia
Advertisment