Advertisment

রক্তাক্ত, যন্ত্রনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন! স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শতরান নিয়ে অকপট শচীন

শিয়ালকোটের সেই জেদই ম্যানচেস্টারে শচীনের শতরানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেয়। শিয়ালকোটের পর ম্যাঞ্চেস্টারেও অবশ্য আঘাত নিয়েই খেলতে হয় মাস্টার ব্লাস্টারকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রথম টেস্ট শতরান করার পরে শচীন

ম্যাচ বাঁচানো শতরান এখন কার্যত বিলুপ্তপ্রায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে অবশ্য তেমনই এক ইনিংসে ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন এক টিনএজার। এই ১৪ অগস্টেই।

Advertisment

কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট শতরানের বিষয়ে জানাতে গিয়ে শচীন রমেশ তেন্ডুলকর বলছিলেন, "১৪ অগাস্ট সেঞ্চুরি করি। পরের দিনই ছিল ১৫ অগাস্ট। তাই সেই শতরান বরাবরই স্পেশ্যাল। সেই সেঞ্চুরির জন্যই সিরিজটা বেঁচে ছিল ওভাল টেস্ট পর্যন্ত।"

পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ওয়াকার ইউনিসের বাউন্সারে রক্তাক্ত হওয়ার পরেও ম্যাচ বাঁচিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলার বিষয়ে তখন থেকেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান লিটল মাস্টার।

আরও পড়ুন

কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারকে নিয়ে হুমকি ডিভিলিয়ার্সের, বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে বিদ্ধ সুপারস্টার

শচীন সেই ইনিংসের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "শিয়ালকোটে আঘাত পেয়েও ৫৭ করি। তাও আবার ৩৮/৪ হয়ে যাওয়ার পরে। ওয়াকারের সেই বাউন্সার আর ব্যথা নিয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমার কেরিয়ারের দিক নির্ধারিত করে দিয়েছিল। সেরকম আঘাত লাগার পর হয় তুমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে নাহয় হারিয়ে যাবে।"

শিয়ালকোটের সেই জেদই ম্যানচেস্টারে শচীনের শতরানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেয়। শিয়ালকোটের পর ম্যাঞ্চেস্টারেও অবশ্য আঘাত নিয়েই খেলতে হয় মাস্টার ব্লাস্টারকে। সেই সময়ের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার ডেভন ম্যালকমের বল আছড়ে পড়েছিল শচীনের মাথার পিছনে।

শচীন স্মৃরিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "সেই সময়ে ডেভন ম্যালকম আর ওয়াকার ইউনিস দুজনেই বিশ্বের সেরা দুই দ্রুতগতির বোলার ছিলেন। ৯০ মাইল ঘন্টায় বল করতেন ওঁরা। চোট লাগার পরে অবশ্য ফিজিওকে ডাকিনি। নিজের ব্যথা বোলারদের দেখাতে চাইনি।"

যেকোনো ধরণের ব্যথা সইয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শচীনকে প্রস্তুত করেন কোচ রমাকান্ত আচরেকর। জিমখানার মাঠে। শচীন বলছিলেন, "শিবাজী পার্কে অনুশীলনের সময় থেকেই ব্যথা সইয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রপ্ত ছিলাম। আমার শরীরে অসংখ্য চোটের চিহ্ন রয়েছে আজও। যে পিচে আমরা একদিন আগে ম্যাচ খেলতাম, সেই পিচেই পরেরদিন অনুশীলন চালাতাম আমরা। তাই আচমকা বল লাফিয়ে উঠে নাকে আছড়ে পড়ত। আমি বলি ছুড়ে ব্যথা হজম করে ফের স্ট্যান্স নিতাম।"

Read the full article in ENGLISH

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Sachin Tendulkar Test cricket
Advertisment