অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া হোক বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ৩০ বছর ধরে দেশের ক্রিকেটের সেবা করেছেন। হঠাৎ করে আচমকা কিংবদন্তি লেগস্পিনারের চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই। শচীন যেমন প্রিয় বন্ধুর মর্মান্তিক খবর পেয়েই টুইট করেন।
বলে দেন, "স্তম্ভিত, হতবাক, দুঃখজনক! ওয়ার্নি তোমাকে মিস করব। মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, তোমার সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত কখনই বিবর্ণ ছিল না। মাঠের মধ্যে আমাদের যুদ্ধ, আর মাঠের বাইরে কথা চালাচালি চিরকালীন সম্পদ হয়ে গেল। ভারতে তুমি বরাবর স্পেশ্যাল। ভারতীয়রাও তোমার জন্য স্পেশাল। বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলে।"
ক্রিকেট সার্কিটে ওয়ার্ন-শচীন ডুয়েল এখন প্রবাদে পরিণত হয়েছে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে শচীনকে যেমন বিব্রত করতেন, তেমন শচীনও একাধিকবার অজি তারকাকে পাল্টা দিয়েছেন ব্যাট হাতে। মাঠের বাইরে অবশ্য দুজনে ঘনিষ্ঠতম বন্ধু ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে বারবার নির্বাচক কমিটির বৈঠকে সৌরভ! বিষ্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেট
ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ ঝড়ের গতিতে ধেয়ে আসতেই ক্রিকেটাররা একের পর শোকবার্তায় ভাসিয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়া।
১৯৯২ থেকে ২০০৭- দীর্ঘ দেড় দশকের ক্রিকেট কেরিয়ারের একের পর এক শৃঙ্গ ছুঁয়েছেন। উইজডেনের শতকসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের বিরল তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। ২০১৩-য় আইসিসির হল অফ ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাঁকে।
আইকনিক সিডনি ক্রিকেট মাঠে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটান মহাতারকা, ১৯৯২-এ। ১৯৯৯-এ অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করতে বড়সড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এসেজের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বসেরা উইকেট প্রাপকও তিনি।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের জার্সিতে ব্যাটে ঝড় তোলেন কোহলি! বিরাটের বাঙালি কোচ এখনও সুখ-স্মৃতিতে ডুবে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পরে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসে কোচ কাম অধিনায়কের ভূমিকায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। টুর্নামেন্টের প্ৰথম সংস্করণেই রাজস্থানকে জয়ী করেন। মাঠ এবং মাঠের বাইরে ফ্ল্যামবয়েন্ট ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচিত ছিলেন। ধারাভাষ্যকারের ভুমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।