চুক্তিভঙ্গ করায় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্টে ব্যাট প্রস্তুতকারক সংস্থা স্পার্টানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। স্পার্টান শচীনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় সেই মামলা প্রত্যাহার করার পথে মাস্টার ব্লাস্টার।
সংস্থার বিরুদ্ধে শচীনের অভিযোগ ছিল তাঁর নাম, ছবি বিজ্ঞাপনী প্রচারে ব্যবহার করলেও কিংবদন্তিকে কোনও রয়্যালটির অর্থ দিচ্ছিল না। শচীন আগেই সতর্ক করেছিলেন। তারপরেও সেই সতর্কবার্তা কানে তোলেনি তারা। ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে। অবশেষে, ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে যেতেই স্পার্টানের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি গত বিশ্বকাপ চলাকালীন।
সিডনির ব্যবসায়িক সংস্থাটি বছর তিনেক আগে দশ বছরের জন্য চুক্তি করেছিল শচীনের সঙ্গে। সেই চুক্তি অনুযায়ী শচীনের নাম, ছবি ও লোগো ব্যবহার করতে পারবে স্পার্টান। পরিবর্তে শচীনকে বছরে ১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। সেই চুক্তির পোশাকি নাম ছিল ‘শচীন বাই স্পার্টান’। সেই সংস্থার হয়ে এরপরে শচীন মুম্বই থেকে লন্ডন প্রচারও করেছেন। তবে বিপত্তি বাধে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে রয়্যালটির অর্থ পাচ্ছিলেন না কিংবদন্তি।
তারপরেই শচীনের তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করে বলা হয়, রয়্যালটির অর্থ না পাওয়ার বিষয়টি। তবে শচীনের কথায় কর্ণপাত না করেই নিজেদের ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি করতে থাকে সংস্থাটি। তারপরেই শচীন রীতিমতো আইনি পথে জানান, বিজ্ঞাপনী প্রচারে যেন শচীনের ছবি, নাম, লোগো না ব্যবহার করে স্পার্টান। তারপরেও স্পার্টান সরে আসেনি শচীনের নাম ব্যবহার করা থেকে। তারপরেই চরম পথে হাঁটতে বাধ্য হন তিনি।
স্পার্টান সম্প্রতি বিবৃতি জানিয়ে শচীনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে। স্পার্টান-এর সিওও লেস গ্যালব্রেথ সেই বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "শচীনের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তির মর্যাদা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। সমস্যা মেটাতে শচীনের ধৈর্য্য দৃষ্টান্তমূলক। স্পার্টান এর সঙ্গে চুক্তি থাকার কারণে শচীন অন্য ব্রান্ডের সঙ্গেও চুক্তি করতে পারছিলেন না। লন্ডন, মুম্বই সহ একাধিক জায়গায় স্পার্টানের হয়ে প্রচারেও অংশ নিয়েছেন উনি।"
পাশাপশি সেই সংস্থার তরফে জানানো হয় সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে শচীনের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি নেই। সেই সময়েই শচীন চুক্তি বাতিল করেছিলেন।