ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয়ের পর নয়, বরং তারও বছর পাঁচেক আগে ক্রিকেট ছেড়ে দিতেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিশ্বকাপ জয়ী কোচ গ্যারি কার্স্টেন। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ভারতের জাতীয় দলে কোচ হয়ে আসার আগে নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। ২০০৭ সালে শচীন ৩ অথবা ৪ নম্বরে ব্যাটিং করতেন। পরে কার্স্টেন দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের ওপেনিং স্লট ফিরে পান। এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি।
খেলার এক পডকাস্ট শো 'দ্য ক্রিকেট কালেক্টিভ'-এ গ্যারি কার্স্টেন জানালেন, "শচীনের সঙ্গে কোচিংয়ের যাত্রাপথ ভালো উপভোগ করেছিলাম। যখন আমি ভারতে প্রথমবার কোচিং করাতে আসি, সেই সময়ে আমার মনে আছে শচীন ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিল।"
এরপরে প্রোটিয়াজ কোচ আরো জানান, "শচীন মনে করত, ও ব্যাটিং পজিশন সঠিক ছিল না। ক্রিকেটটা আর উপভোগই করছিল না ও। তারপরে তিন বছরে ১৯তা আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকায় শচীন। নিজের পছন্দের ব্যাটিং পজিশনে ব্যাটিং করে বিশ্বকাপও জেতে।"
২০০৮ এর মার্চে কার্স্টেন কোচ হয়ে আসেন ভারতের। এরপর থেকেই ব্যাটিংয়ে পুরোনো মেজাজ ফিরে পান মাস্টার ব্লাস্টার। ২০০৮ থেকে ২০১১ র মধ্যে ৭টা সেঞ্চুরি সহ ২১৪৯ রান করে যান। ২০১০ এ বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে দ্বিশতরান করে করেন শচীন। সেই জন্য উইজডেন এর বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হন লিটল মাস্টার।
কার্স্টেন জানিয়েছেন, জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন শচীন যেন মনের মত ক্রিকেট পরিবেশ পান। "আমি কেবল শচীনকে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলাম। ওকে বলার কিছু ছিল না। খেলা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল। খালি সুস্থ একটা পরিবেশের ওর প্রয়োজন ছিল। শুধু শচীন নয় গোটা দলেরই এমনটা প্রয়োজন ছিল, যাতে ওরা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরতে পারে।"
অবসরের পর শচীনের নামের পাশে জমা হয় রেকর্ড ১৮৪২৬ রান। ৪৯টা সেঞ্চুরি এবং ৯৬টা হাফ সেঞ্চুরি সহ। টেস্টে শচীন ৫১টা শতরান এবং ৬৮ টা অর্ধশতরান নিয়ে করে যান ১৫৯২১ রান।