ঈশ্বরের আশীর্বাদ সঙ্গে থাকলে নাকি অসম্ভবকেও জয় করে ফেলা সম্ভব। একথা কেউ বুঝুক না বুঝুক, শাহিদ আফ্রিদি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছিলেন। যদি সেই সেই ঈশ্বর আবার পড়শি দেশের হয়! তাহলে? শাহিদ আফ্রিদির আত্মজীবনী 'গেম চেঞ্জার'-এ উঠে এসেছে অদ্ভূত এক তথ্য। তাও আবার তাঁর রেকর্ড ৩৭ বলে শতরানের সময়। জানা গিয়েছে, শচিন তেন্ডুলকরের ব্যাট ব্যবহার করেই রুদ্ধশ্বাস ইনিংস খেলেছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। সাক্ষাৎ ক্রিকেট ঈশ্বরের ব্যাট ব্যবহার করার কথা খুল্লমখুল্লা পাকিস্তানি সুপারস্টার স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন
আসলে পাকিস্তানের শিয়ালকোটের ব্যাট প্রস্তুত কারক কারখানায় সচিন নিজের ব্যক্তিগত ব্যাট ওয়াকার ইউনুসের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন। যাতে সেখানকার কারখানায় সচিনের ব্যাটের রেপ্লিকা তৈরি করা যায়। এখানেই কাহিনীতে ঢুকে পড়েছিলেন তরুণ আফ্রিদি। আত্মজীবনীতে আফ্রিদি লিখেছেন, "ওয়াকার ইউনিস শিয়ালকোটে নিয়ে যাওয়ার আগে কী করেছিলেন কেউ অনুমান করতে পারছেন? উনি আমার হাতে শচিনের সেই ব্যাট তুলে দিয়েছিলেন। শচিন তেন্ডুলকরের সেরা ব্যাটেই শাহিদ আফ্রিদি নাইরোবিতে প্রথম শতরান করেছিল।"
সদ্য নিজের বয়স প্রকাশ করেছেন আফ্রিদি। সেই অনুযায়ীই, ১৬ নয়, আফ্রিদির তখন বয়স ছিল ২১ বছর। ইউটিউবে বিভিন্ন ক্লিপিংসে এখনও ভাসে আফ্রিদির ব্যাটিংয়ের সেই তাণ্ডবলীলা। ৪০ বলে ১০২ রান করে থেমেছিলেন তারকা ক্রিকেটার। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের বহু আগেই ১১টা ওভার বাউন্ডারি এবং হাফডজন বাউন্ডারি সমেত আফ্রিদি নাইরোবির পিচে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। স্ট্রাইক রেট ছিল অত্যাশ্চর্য ২৫৫। ঘটনাচক্রে, সেটাই ছিল আফ্রিদির দ্বিতীয় ওয়ান ডে। ক্রিজে ব্য়াট করতে নেমেছিলেন প্রথমবার।
আফ্রিদির সেই কাহিনী এখন মিথ। তবে এই ক্রিকেটের এই গল্প-গাঁথা হয়তো সম্ভবই হত না, স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বরের বরাভয় না থাকলে!