প্রয়াত শচীন তেন্ডুলকরের কোচ রমাকান্ত আচরেকর। ৮৬ বছর বয়সে মারা গেলেন ক্রিকেট ঈশ্বরের দ্রোণাচার্য। ১৯৩২-এ জন্মগ্রহণ করা আচরেকর দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টায় নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আচরেকর। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকেও টুইট করে শোকবার্তা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
১৯৪৩ সালে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন আচরেকর। তার দু’বছর পর থেকেই নিউ হিন্দ স্পোর্টস ক্লাবের হাত ধরে ক্লাব ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। এরপর মহারাষ্ট্রের ইয়ং ইলেভেনেও খেলেন তিনি। গুলমোহর মিলস ও মুম্বই পোর্টেও খেলেছেন। ১৯৬৩ সালে একটি মাত্র প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন আচরেকর। মইন-উদ-দৌল্লা টুর্নামেন্টে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার হয়ে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলেন।
আরও পড়ুন: সেদিন ব্য়াট হাতে রূপকথা লিখেছিল দুই কিশোর
আচরেকর ক্রিকেটার হিসেবে সেভাবে সুনাম অর্জন করতে পারেননি। কিন্তু কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত। কিন্ত কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত। মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কে কামাথ মেমোরিয়াল ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন আচরেকর। সেখানে হেড কোচের ভূমিকায় পাওয়া যায় তাঁকে। তাঁর হাত ধরেই বেড়ে ওঠেন আধুনিক ক্রিকেটের ডন শচীন। শুধু শচীনই নন, আচারেকরের জন্য ভারত পেয়েছে বিনোদ কাম্বলি, অজিত আগারকর ও প্রবীণ আমড়ের মতো ক্রিকেটারদের।
গোটা জীবনটাই নিয়োজিত করে দিয়েছিলেন ক্রিকেটার তৈরির কাজে। শচীন প্রতি শিক্ষক দিবসেই আচরেকরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর থেকে আশীর্বাদ নিয়ে আসতেন। এবছরও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। গত ৩১ অক্টোবর শচীন ও কাম্বলি দু'জনেই আচরেকরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেই ছবিও টুইট করেন মাস্টারব্লাস্টার। ক্রিকেটে কোচিংয়ে আজীবন অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে ভারত সরকারের কাছ থেকে দ্রোণাচার্য পুরস্কারে ভূষিত হন আচরেকর। ২০১০ সালে পান পদ্মশ্রী।