Sachin Tendulkar first international century, India independence day: ১৯৯০-এর ১৪ অগাস্ট। গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছিল ১৭ বছরের এক কিশোরের ব্যাটিং বিক্রম। স্বাধীনতার ঠিক আগের দিন হারের মুখে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় দল। দোর্দণ্ডপ্রতাপ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে। নিশ্চিত হারের মুখে দাঁড়িয়ে ক্রিজে ২২৫ মিনিট টিকে দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন সেই কিশোর। সেই কিশোরই সেদিন সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে আন্তর্জাতিক টেস্টে শতরানের কীর্তি অর্জন করেন।
ইনি আর কেউ নন, আমাদের মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর। সেই শতরান দিয়ে শুরু। তারপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও ৯৯ শতরানের মালিক হবেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা মোটেই মসৃণ হয়নি শচীন তেন্ডুলকরের। প্ৰথম সেঞ্চুরি পেতে লেগে গিয়েছিল ৮টা টেস্ট। তবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়ে রেকর্ড গড়ে শতরান করে যান। ১৮৯ বলে শচীনের ১১৯ রানে ভর করে ভারত সেদিন নিশ্চিত হার বাঁচিয়ে ড্র করে। সেবার-ই প্রথম ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পান খুদে বালক।
সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৫১৯ রান তুলে দিয়েছিল গ্রাহাম গুচ, মাইকেল আথারটন এবং রবিন স্মিথের ব্যাটে ভর করে। জবাবে ভারত মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ১৭৯ রানের সৌজন্যে স্কোরবোর্ডে খাড়া করে ৪৩২ রান। শচীনও আজহারকে যোগ্য সহায়তা করেন মূল্যবান ৬৮ রানের ইনিংস খেলে।
দ্বিতীয় ইনিংসে আলান লাম্বের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড ৩২০ রান তোলে। ৪০৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে ভারত ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। দিলীপ বেঙ্গসরকারকে আউট করে দেন ক্রিস্টোফার লুইস। তারপরেই মাঠে আসেন কিশোর তেন্ডুলকর। আজাহারক কিছুক্ষণ পরে ফিরে যান। ইংলিশ কন্ডিশনে শচীন রীতিমত সমস্যায় পড়েন ইংরেজ পেসারদের সামলাতে গিয়ে।
তবে শীঘ্রই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর শচীনকে আর থামানো যায়নি। ২২৫ মিনিট ব্যাট হাতে কুম্ভের মত দুর্গ আগলে দাঁড়িয়ে যান। শচীনের অপরাজিত শতরানের দৌলতে ভারত স্কোরবোর্ডে দিনের শেষে ৩৪৩/৬ তুলে ম্যাচ ড্র করে দেয়। ইংল্যান্ডের নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয় একা শচীনের জন্য।
পরবর্তীতে শচীন নিজের প্ৰথম শতরানের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সংবাদসংস্থাকে বলেন, "১৪ অগাস্ট প্ৰথম শতরান করি। তারপরের দিনই ছিল স্বাধীনতা দিবস। তাই এই সেঞ্চুরি বরাবর স্পেশ্যাল। অন্যভাবে শিরোনাম লেখা হয় সংবাদপত্রে। ওভালে পরের টেস্ট পর্যন্ত এই শতরান সিরিজের আকর্ষণ বাঁচিয়ে রেখেছিল।"