নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে বহুবার 'প্রথম' কীর্তি গড়ে দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর সেই 'প্রথম' কীর্তিসমূহ এখনও সযত্নে রেকর্ডবুকে বেঁচে রয়েছে। যাইহোক, বাইশগজের দুনিয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেকদিন। যাইহোক, সচিন রমেশ তেন্ডুলকর নিজেও এবার 'প্রথম কোনওকিছুর' সাক্ষী থাকলেন। সালোঁ-তে আসলে তিনি প্রথমবার দাড়ি কামালেন। তা-ও আবার সেই সালোঁ-র মালিক দুই বোন। পুরো বিষয়টিই সচিন নিজে পোস্ট করলেন নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। প্রকাশ্যে আসার পরেই তা ভাইরাল। ছবি দেখল নেট দুনিয়া।
আরও পড়ুন
একটি প্রসাধনী সংস্থার বিজ্ঞাপনে নির্মাণ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বানওয়ারি তলা গ্রামের দুই বোনের জীবনের অবলম্বনে। কী সেই কাহিনী! দুই বোনের কাহিনী অনুপ্রেরণা জোগাবে যেকোনও ব্যক্তিকেই। উত্তরপ্রদেশের বানওয়ারি গ্রামেই এক বাসিন্দা নিজে সালোঁ চালাতেন। তবে ২০১৪ সালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই ব্য়ক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়ে তাঁর পরিবার।
সেই সময় সঙ্কটে এগিয়ে আসেন সেই ব্যক্তির দুই মেয়ে- নেহা এবং জ্যোতি। প্রাথমিকভাবে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, দুই বোনেই সংসারের ভরণপোষণ আমেটাতে সালোঁ-তে গিয়ে কাজ করবে তারা। সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় সামাজিক ট্যাবু ও বিধিনিষেধ। তবে তা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দুই বোন সালোঁ-তে কাজ করা শুরু করেন।
প্রচলিত সামাজিক অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহিনী দুই কিশোরীর গল্প অবলম্বনেই এবার বিজ্ঞাপন! আর বিজ্ঞাপনের সূত্রেই সচিন হাজির সাহসিনীর 'বার্বারশপ গার্লস' স্যাঁলোতে। মাস্টার ব্লাস্টার্স নিজে ইনস্টাগ্রামে দুই কিশোরীর কাছে দাড়ি কামানোর ছবি প্রকাশ করেন। নেহা আর জ্যোতির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সচিন লেখেন, ''আপনারা হয়তো জানেন না, আমি কখনও কারও কাছে শেভ করিনি। আজ সেই রেকর্ড ভাঙল। বার্বারশপ গালর্সদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা দারুণ সম্মানের।'' সেই প্রসাধনী সংস্থার পক্ষ থেকে দুই কন্যেকে স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।