বিশ্বকাপে শচীনকে আউট করেছিলেন, এখনও বিশ্বাস আজমলের

জাতীয় দলের জার্সিতে ১১৩টি ওডিআই এবং ৬৪টি টি টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নেন আজমল। উইকেটের সংখ্যা যথাক্রমে ১৮৩ ও ৮৫। বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে বোলিং একশন নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন।

জাতীয় দলের জার্সিতে ১১৩টি ওডিআই এবং ৬৪টি টি টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নেন আজমল। উইকেটের সংখ্যা যথাক্রমে ১৮৩ ও ৮৫। বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে বোলিং একশন নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

২০১১ বিশ্বকাপে শচীন তাঁর বলে আউট ছিলেন। এখনও বিশ্বাস করেন পাকিস্তানের অফস্পিনার সঈদ আজমল। সম্প্রতি শচীনকে আউট করতে না পারার হতাশায় স্বান্তনার বাণী শুনিয়েছেন ইংরেজ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড। জানিয়েছেন, তিনি থাকলে সেই ম্যাচে শচীনকে আউটই দিতেন।

Advertisment

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোহালিতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শচীন ৮৩ রান করে গিয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ৮৩ রানের মাথায় শচীনকে আজমলের বলে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড। যদিও সেই আউট তৃতীয় আম্পায়ার বিলি বাউডেন নাকচ করে দেন।

আইসিসির এলিট প্যানেলের প্রাক্তন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড জানিয়েছেন, এখন হলেও নিজের সিদ্ধান্তে তিনি অনড় থাকতেন যে শচীন আউট ছিলেন।

Advertisment

সেই ঘটনা স্মরণ করে আজমল বলছিলেন, "স্ট্রেট ইনফ্রন্ট লাইনে বল পিচ করেছিল। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম যে শচীন আউট। শাহিদ আফ্রিদি, কামরান, ওয়াহাব এবং দলের অন্যান্য ক্রিকেটাররা আমাকে জিজ্ঞাসা করার পর জানিয়েছিলাম, এটা আউট।"

publive-image

তবে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত আজমলকে ধাক্কা দিয়ে যায় শচীনকে আউট করার স্বপ্নে। আজমল বলছিলেন, "এরপরে শচীনকে টেস্ট হোক বা সাদা বলের ক্রিকেট আর কখনও বল করার সুযোগ পাইনি। ওর বিপক্ষে যখনই খেলেছি, নিজের সেরাটা দিয়েছি।"

পাশাপাশি আজমলের সংযোজন, "সবথেকে হতাশাজনক ব্যাপার ছিল যে আমরা সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম। এবং শচীনের ৮৩ রান দুদলের পার্থক্য গড়ে দেয়। যাইহোক, এখনও শচীনের সেই আউটের কথা ভাবলে অবাক হই। হয়ত ওর সঙ্গে ভাগ্য ছিল এবং সেই কারণেই দলের হয়ে ওরকম গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে গিয়েছিল।"

জাতীয় দলের জার্সিতে ১১৩টি ওডিআই এবং ৬৪টি টি টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নেন আজমল। উইকেটের সংখ্যা যথাক্রমে ১৮৩ ও ৮৫। বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে বোলিং একশন নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন। ২০১৪ সালে ফের একবার বোলিং একশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর আর বেশিদিন খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি। ২০১৭ সালে অবসর নেন পাক স্পিনার।

Sachin Tendulkar