কলকাতা সফরে এসেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনীয় গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। আর তাঁর সফরকালেই 'এমি' হয়ে উঠলেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। সেমিফাইনালে লেবানন বধের পর ভারত সাফে চ্যাম্পিয়ন হল রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে। জোড়া ম্যাচে টাইব্রেকার শ্যুট আউটে নায়ক গুরপ্রীত।
নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়েছিল। ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়েই ম্যাচের ফয়সালা হয়নি। এরপরে খেলা টাইব্রেকারে গড়াতেই চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ভারতের।
টাইব্রেকারের শুরুতেই কুয়েতের আব্দুল্লার শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। ভারতের হয়ে টাইব্রেকার মিস করেন উদান্ত সিং। তবে ষষ্ঠ শটে অধিনায়ক অধিনায়ক হাজিয়ার শট বাঁচিয়ে ভারতকে নবমবার সাফে চ্যাম্পিয়ন করেন বেঙ্গালুরু এফসির তারকা গোলকিপার। ভারতের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করে যান সুনীল ছেত্রী, মহেশ সিং, শুভাশিস বোস, ছাংতে, সন্দেশ ঝিংগান।
গ্রুপ পর্বে এর আগে দুই দলের খেলা অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে আনোয়ার আলির আত্মঘাতী গোলে জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে আসতে হয়। তবে এবার সেই ড্রয়ের বদলা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন স্টিম্যাচের ভারত।
বিরতির আগেই ম্যাচ ১-১ গোলে আটকে ছিল। প্ৰথম থেকেই কুয়েত ভারতের অর্ধে চাপ বাড়িয়েছিল। সেই চাপ সামলাতে না পেরে ভারত ১৪ মিনিটে গোল হজম করে বসে। বক্সের মধ্যে অরক্ষিত থাকা আখলান্ডি দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে ১-০ এগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কুয়েত।
৩৮ মিনিটে ভারতকে সমতা ফিরিয়ে দেন ছাংতে। ছেত্রী বক্সের মধ্যে সাহালকে পাস বাড়িয়েছিলেন। সাহাল কার্যত গোলের ঠিকানা লেখা ক্রস বাড়ান ছাংতের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি তিনি।
এরপরে কুয়েত শারীরিক খেলায় ভারতের ওপর চাপ বাড়ানোর ট্যাকটিক্স নেয়। তবে ভারত বল পজেশনে দখল রেখে কুয়েতের ধ্বংসাত্মক ফুটবল রুখে দেয়।