মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সলমন খান- এদের মধ্যে প্রিয় কে! এমন প্রশ্ন ভেসে এলে জাতীয় দলের তারকা কেদার যাদব বলে দেবেন, মা-বাবা র মতোই একজনকে বাছা শক্ত।
ক্রিকেট মাঠে কেদার যাদব পরিচিত আনঅর্থোডক্স অলরাউন্ডার হিসাবে। তিনি জাতীয় দলের জার্সিতে যে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন তার নেপথ্যে ধোনি। জানাচ্ছেন তিনি নিজেই।
চেন্নাই সুপার কিংসের ইনস্টাগ্রাম লাইভ চ্যাটে কেদার যাদব বলছিলেন, "অন্যান্য প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটারের মতোই বেড়ে ওঠার সময় আমার আদর্শ ছিলেন শচীন। ওঁর সঙ্গে খেলতে পারিনি এটা জীবনের অন্যতম বড় আক্ষেপ। তবে ফেভারিট ক্রিকেটার জিজ্ঞাসা করলে ধোনির নামই বলবো।"
কেদার জানাচ্ছেন, "মাহি ভাইয়ের সঙ্গে যখন প্রথম সাক্ষাৎ হয়, তখন ভেবেছিলাম, জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ায় বেশ কড়া হবেন হয়ত। তবে আলাপের পর বুঝি অন্যান্যদের মতোই।"
২০১৪ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর কেদার ২টো শতরান এবং হাফ ডজন অর্ধশতরান সহ ১৩৮৯ রান করেছেন। কেদার জানালেন, "জাতীয় দলের জার্সিতে ৮-১০টা মাত্র ম্যাচ খেলতে পারি। তবে মাহি ভাই সবসময় আমাকে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছে। ধোনি আস্থা রাখায় সেটা আমার খেলাতেও প্রভাব ফেলেছে। যখনই মাঠে ধোনিকে দেখি আমার খেলায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। এটা আমাকে দারুনভাবে সাহায্য করেছে।"
ধোনির পাশাপাশি অভিনেতা সালমান খানেরও বড় ফ্যান তিনি। এদের দুজনের মধ্যে ফেভারিট বাছতে বললে কিছুটা ধন্দে পরে যান তারকা ক্রিকেটার, "ধোনির জন্যই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি। যত অল্প সংখ্যকই ম্যাচ খেলি না কেন! আবার মাহি ভাইয়ের জন্যেই সালমান খানের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। এঁদের দুজনের মধ্যে ফেভারিট বাছা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এটা অনেকটা মা-বাবার মধ্যে প্রিয় বাছার মত।"
সেই লাইভ সেশনে নিজের সাইড আর্ম বোলিং একশন নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি, "নেটে অনেকবার এমন অনুশীলন করেছি। সেই সময় অনিল কুম্বলে কোচ ছিলেন। তিনি জানান, এমন একশন মোটেই অবৈধ নয়। তারপর প্রথমবার বল করে জিমি নিশামকে আউট করেছিলাম। সেটাই ছিল আমার প্রথম উইকেট। তারপর মাহিভাই আস্থা দিয়েছিলেন যে আমিও বোলিং করতে পারি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও অনেক বোলিং করেছি। তবে আসল আস্থা জুগিয়েছে ধোনিই।"