/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/Sanath-jayasuriya.jpg)
প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছাড়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তারপরেই শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চলে কারফু জারি। এমন অবস্থায় সংবাদমাধ্যমে পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। কমেডি চরিত্র মিস্টার বিনের সঙ্গে সরাসরি তুলনা করে বসলেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর।
জয়সূর্যের শোরগোল ফেলে দেওয়া টুইট, "স্রেফ কল্পনা করো, নির্বাচকরা প্রত্যাখ্যান করার পরেও মিস্টার বিনকে দলে নেওয়া হয়েছে। কারণ উনি একজন ক্রিকেটার নন, অভিনেতা। এর পরেও উনি খেলেন। এবং আম্পায়ার আউট দিয়ে দেওয়ার পরও ক্রিজে থাকেন। আর কোনও খেলা বন্ধ হোক। ক্রিজের শেষ ব্যাটসম্যান ক্রিকেটে কখনও একা ব্যাট করতে পারে না। সম্মানের সঙ্গে বিদায় নাও।"
আরও পড়ুন: ৪০০ টাকার জন্য ‘IPL’ খেলল ২১ চাষী! রাশিয়ানদের ঠকাতে মোদির গুজরাটে বড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস
Imagine Mr Bean brought into the team despite selectors rejected him because he is an ACTOR & not a cricketer! However, not only does he play when umpire rules him out refuses to leave the crease ! No more games. Last man has no chance to bat alone in cricket. Leave GRACEFULLY https://t.co/4neKZKAbV4
— Sanath Jayasuriya (@Sanath07) July 13, 2022
এর আগেও দেশের ভয়ঙ্কর অবস্থার প্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়সূর্য মিস্টার বিনের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। শনিবারের তাঁর টুইটের বয়ান ছিল, "মানুষ তীব্র অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ছে। বাড়ি ফিরে যাও অথবা পদত্যাগ করো- এর মধ্যে কোনটা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে? এটা মোটেই মিস্টার বিন সিনেমা নয়। বাস্তবে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে আপনারা খেলছেন।"
The people are getting agitated. What part of resign or go home don’t you understand Mr. President and Mr. Prime Minister this is not a Mr. BEAN movie this is real life your playing with people lives. #GoHomeGota#GoHomeRanilpic.twitter.com/XGRWXlpGhn
— Sanath Jayasuriya (@Sanath07) July 9, 2022
অর্থনৈতিক দুরবস্থার জেরে শ্রীলঙ্কা আপাতত বিধ্বস্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্রোহ চলছে। প্রতিবাদকারীদের থামানোর জন্য জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের দফতরে গিয়ে প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার জনতা। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে পুলিশ গুলিও চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, সর্বদল সমন্বয় দায়িত্ব নিলেই তিনি পদত্যাগ করবেন।