মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে আগেই ফিরে এসেছিলেন কোর্টে। তারপরেই বড় পুরস্কারও পেয়ে গেলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসাবে ফেড কাপ হার্ট আওয়ার্ড জিতে নিলেন।
এশিয়া/ ওশেনিয়া জোন থেকে তিনি বিজয়ী হলেন। ১৬৯৮৫ ভোটের মধ্যে সানিয়া একাই পেলেন ১০ হাজারের বেশি ভোট।
মে মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল ভোটিং প্রক্রিয়া। একসপ্তাহ চলা সেই ভোটিংয়ে মোট ভোটের ৬০ শতাংশই পেয়েছেন সানিয়া। বিশ্বজুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা যে কতটা তা এতেই প্রমাণিত।
সানিয়া বিজয়ী হওয়ার পর টেনিস তারকা জানিয়েছেন, "প্রথম ভারতীয় হিসাবে ফেড কাপ হার্ট আওয়ার্ড জেতা বেশ সম্মানের। এই জয় গোটা দেশ এবং আমার সমর্থকদের উৎসর্গ করলাম। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের অজস্র ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে দেশকে আরো অনেক সম্মান এনে দিতে পারব, আশা করি।"
৪ বছর পর ফেড কাপে প্রত্যবর্তন করেছিলেন আগেই। ১৮ মাসের সন্তান ইজহানকে গ্যালারিতে সাক্ষী রেখে সানিয়া প্রথমবার ফেড কাপের মূলপর্বে ভারতকে যোগ্যতা নির্ণয়ে সাহায্য করেছিলেন। ২০১৮ র অক্টোবরে পুত্র ইজহানের জন্মের পর বেশ কয়েকমাস কোর্টের বাইরে ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কোর্টে ফিরেই হবার্ট এ মহিলা ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন নাদিয়া কিচেনককে সঙ্গী করে।
এশিয়া/ ওশেনিয়া জোনে সানিয়া হারালেন ইন্দোনেশিয়ার প্ৰিষ্কা মেডিলিন নুগ্রহকে। প্রতিটি জোনের বিজয়ীকে ২০০০ মার্কিন ডলার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই অর্থ তিনি তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে দান করে দিচ্ছেন। সানিয়া জানান, "বিশ্ব ভাইরাসের সংক্রমণে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় পুরস্কারের অর্থমূল্যের পুরোটাই তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করে দিচ্ছি।"
আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থার উদ্যোগে ২০০৯ সাল থেকে এই হার্ট পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ফেড কাপে অংশগ্রহণকারী যে টেনিস তারকারা দেশের হয়ে অংশগ্রহণ করার সময় সাহসিকতা প্রদর্শন করেন, সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করেন, তাঁদেরই ফেড কাপ হার্ট এওয়ার্ড দেওয়া হয়।