বারেবারেই বিতর্ককে আলিঙ্গন করেন মঞ্জরেকর। ধারাভাষ্যকার হিসেবে একাধিকবার সমস্যায় পড়েছেন তিনি। কখনও জাদেজাকে খণ্ড-বিখণ্ড ক্রিকেটার বলে সমালোচনায় পড়েন। কখনও আবার সতীর্থ ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলেকে অন-এয়ার অপমান করে বসেন। নিজে বছর শেষে স্বীকারও করে নিয়েছেন, ২০১৯ তাঁর কেরিয়ারের নিকৃষ্টতম।
তবে নতুন বছরেও বিতর্ককে এড়াতে পারলেন কই! জেএনইউ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বইয়ের প্রতিবাদী মিছিলকে তিনি সমর্থন করে বসলেন। যেখানে আবার দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরের স্বাধীনতার বার্তা। তাঁর সমর্থন জানিয়ে টুইট করার পরেই একাংশের ক্ষোভের মুখে তিনি।
কমনওয়েলথ গেমসের সোনাজয়ী কুস্তিগীড় যোগেশ্বর দত্ত যে কারণে মঞ্জরেকরকে পালটা দিলেই টুইটেই। স্মরণ করিয়ে দিলেন, দেশদ্রোহীদের বিদ্রোহেই পরোক্ষে মদত দিচ্ছেন তিনি। যা নিয়ে চলতি অচলাবস্থার মধ্যে বিতর্কের নয়া অধ্যায় সংযোজন করে গেল।
কোনওভাবেই এই হিংসা বরদাস্থ করা সম্ভব নয়! এমন ভাষাতেই এবার মুখ খুললেন ইরফান পাঠান। অবসর নিয়েছেন দু-দিন আগেই। হ্যাংওভার এখনও কাটেনি। অবসরের পরে মুখ খুললেন এবার জেএনইউ কাণ্ডে। পাঠানের সুরেই সুর মিলিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। অস্বস্তি আরও বেড়েছে কেন্দ্রীয় শাসকদলের। কারণ গোটা ঘটনার অভিযোগের তির বিজেপি-র ছাত্র সংঘঠন এবিভিপির দিকে।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রবিবার সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসার আগুন। যার ফলে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন ছাত্র সংসদ সভাপতি ঐশী ঘোষ। সূত্রের খবর, আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই, যদিও সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। বেশ কিছু আহতকে ভর্তি করা হয় এইমস-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। হামলার নিশানায় ছিলেন বেশ কিছু অধ্যাপকও।
তারপরেই জেএনইউ-এর হামলার প্রতিবাদে পথে নামে মুম্বই। যদিও সেই মিছিলের বিরুদ্ধে পালটা দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ওঠে। একজন ছাত্রীকে দেখা গিয়েছে ফ্রি কাশ্মীর লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে।
'দেশদ্রোহিতা'র দাগ লেগে যাওয়া মুম্বইয়ের সেই প্রতিবাদী মিছিলেই এবার কিনা সমর্থন জানিয়ে বসলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনি গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েতের ছবি টুইট করলেন, "ওয়েল ডান মুম্বই।"
এরপরেই আসরে নামেন তারকা কুস্তিগীড় যোগেশ্বর দত্ত। তিনি হিন্দিতে কমেন্টেটরকে ঠুকে লেখেন, "এই মিছিলে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে ফ্রি কাশ্মীরের স্লোগান উঠেছিল। এখন তুমি বল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদে কীভাবে ফ্রি কাশ্মীরের স্লোগান ওঠে?" এরপরে যোগেশ্বর ফ্রি কাশ্মীর প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলার ছবি যোগ করে হ্যাশট্যাগে লেখেন 'টুকরে টুকরে গ্যাং'।
গত বছর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তারকা এই কুস্তিগীড়। কমনওয়েলথে সোনার পাশাপাশি অলিম্পিকেও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন তিনি।