ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২০১৯ সাল একেবারেই ভাল কাটেনি। এমনটাই স্বীকারোক্তি সঞ্জয় মঞ্জরেকরের। জাদেজা ও হর্ষ ভোগলে- দুজনের সঙ্গে প্রকাশ্য়েই বাদানুবাদ ঘটেছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঞ্জরেকর সাফ জানিয়ে দিলেন, "১৯৯৭-৯৮ সালে এই পেশায় এসেছিলাম। প্রায় ২০-২১ বছর হয়ে গেল। তবে বিশেষজ্ঞ ও কমেন্টেটর হিসেবে এই বছরভাবে সবথকে খারাপ কেটেছে।"
জাদেজা কাণ্ডে অবশ্য কোনও অনুশোচনা নেই। জাদেজাকে 'বিটস অ্যান্ড পিসেস', খণ্ড বিখণ্ড ক্রিকেটার বলেছিলেন মঞ্জরেকর। মঞ্জরেকর অবশ্য দাবি করছেন, 'বিটস অ্যান্ড পিসেস' ক্রিকেটীয় ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত শব্দবন্ধনী। মঞ্জরেকরের এই 'বিটস অ্যান্ড পিসেস'-এর পালটা জাদেজা পালটা সেই সময় বলেছিলেন, "আপনি যত ম্যাচ খেলেছেন, তাঁর দ্বিগুন ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছি। এখনও খেলছি। যাঁরা আন্তর্জাতিক স্তরে কৃতিত্ব অর্জন করে তাঁদের সম্মান জানাতে শিখুন। আপনার কথার ডায়েরিয়া অনেক সহ্য করেছি।"
Still i have played twice the number of matches you have played and i m still playing. Learn to respect ppl who have achieved.i have heard enough of your verbal diarrhoea.@sanjaymanjrekar
— Ravindrasinh jadeja (@imjadeja) July 3, 2019
আরও পড়ুন হর্ষ ভোগলেকে খোঁচা দিয়ে বিপাকে মঞ্জরেকর
ইডেনে গোলাপি টেস্টের সময় সঞ্জয় মঞ্জরেকর আবার সরাসরি বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন সহ ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের সঙ্গে। ম্যাচ সম্প্রচারের সময় গোলাপি বলের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনায় মেতেছিলেন দুই ধারাভাষ্যকার। সেই সময়েই বলের দৃশ্যমানতা প্রসঙ্গে হর্ষ ভোগলে জানান, “বলের পোস্ট মর্টেম করা হলে দৃশ্যমানতার বিষয়টি দেখতে হবে।” মঞ্জরেকর অবশ্য ভোগলেকে প্রকাশ্যে ঠুকে জানিয়ে দেন, “আমার মনে হয়না, এটা কোনও ইস্যু।”
তারপরেই ভোগলের সংযোজন ছিল, “ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করতে হবে এই বিষয়ে ওদের বক্তব্য কী!” এরপরে মঞ্জরেকর বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে বলেন, “তোমার উচিত এমন কাউকে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন যাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছে। এটা স্পষ্ট যে বল ভালমতোই দেখা যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন সিএএ-র বিরুদ্ধে ভাইরাল হর্ষ-র পোস্ট, সোশ্যালে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ভোগলে অবশ্য সঞ্জয় মঞ্জরেকরের খোঁচা পাত্তা না দিয়ে বলে দেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। নাহলে আমরা টি২০ ক্রিকেট দেখতে পেতাম না।” এরপরে মঞ্জরেকরের জবাব ছিল, “পয়েন্ট বুঝেছি। তবে এতে কোনওভাবেই সম্মত হচ্ছি না।” প্রসঙ্গত, মঞ্জরেকর জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে ৩৭টি টেস্ট খেলেছিলেন।
সেই তিক্ত স্মৃতি রোমন্থন করে অবশ্য অনুতপ্ত মঞ্জরেকর সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "পেশাদার হিসেবে অনেকসময়েই গর্বিত হই। সংযম হারিয়ে এই ঘটনা মোটেই পেশাদারিত্বের পরিচয় নয়। এটা পুরোপুরি ভুল ছিল। অনুশোচনা বোধ করি। নিজের আবেগকে পেশাদারিত্বের থেকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম, এখনও বিষয়টা ভাবলে খারাপ লাগে।"
সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, "অপেশাদার হওয়ার কারণেই আমার তরফ থেকে ভুল হয়েছিল। সেই কারণে প্রোডিউসারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছিলাম।"
Read the full article in ENGLISH