পন্থের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। তা সত্ত্বেও তরুণ উইকেটকিপারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরাট কোহলির মতো সিনিয়র থেকে স্বয়ং বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০তে আচমকাই বাদ দেওয়া হয়েছিল পন্থকে। প্রথম একাদশে সঞ্জু স্যামসনকে খেলানো হয়। পাশাপাশি শিবম দুবে ও কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল মণীশ পাণ্ডে ও যুজবেন্দ্র চাহালকে।
ঘটনাচক্রে, পুণেতে ব্যাটে রান না পেলেও বেনজির রেকর্ড তৈরি করেছেন স্যামসন। জাতীয় দলের প্রথম একাদশে খেলার নজিরে দীর্ঘতম সময় বাইরে ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে টি২০ খেলেছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। গত আটটি টি২০ দলে স্যামসনকে রাখা হলেও প্রথম একাদশে সুযোগ মেলেনি কেরালার তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের।
তারপরে আচমকাই শিঁকে ছিড়ল সঞ্জুর। পুণেতে। শেষবার সঞ্জু জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার পরে ভারত ৭৩টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছে। জাতীয় দলের জার্সিতে দু-বার অংশগ্রহণের মাঝে এত দীর্ঘতম গ্যাপের নজির আর কারোর নেই। ২০১৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সঞ্জু স্যামসন শেষ যে বার খেলতে নেমেছিলেন সেই সময়েও ব্যাটে রান পাননি তিনি। মাত্র ১৯ করেছিলেন। এদিনও খেলতে নেমে সঞ্জুর ইনিংসের স্থায়িত্ব মাত্র ২ বল। প্রথম বলে ছক্কা হাকানোর পরের বলেই আউট।
সঞ্জু স্যামসনের আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন উমেশ যাদব। ২০১২ ও ২০১৮ সালের মাঝে জাতীয় দলের জার্সিতে কোনও টি২০ খেলেননি বিদর্ভের স্পিডস্টার। যার মাঝে ভারত খেলেছিল ৬৫টি টি২০। দীনেশ কার্তিকও রয়েছেন এই তালিকায়। ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মাঝে জাতীয় দলের হয়ে ৫৬টি টি২০ মিস করেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সঞ্জু এই তালিকায় ৪ নম্বরে রয়েছেন। তাঁর আগে রয়েছেন জো ডেনলি, লিয়াম প্লাঙ্কেট এবং মাহেলা উদাত্তে।
ধোনির উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে জোর লড়াই রয়েছে পন্থ ও সঞ্জু স্যামসনের। পন্থ একেবারেই ব্যর্থ হলে সঞ্জুকে বিকল্প হিসেবে ভেবে নিয়েছেন নির্বাচকরা। ২০১৭ সালের আইপিএলের পুণে সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান হাকিয়েছিলেন।
Read the full article in ENGLISH