১০০ মিটারও দৌড়োও নাম দেওয়া হয়নি গোটা স্কুল জীবনটা। ইনহেলার ছিল সর্বক্ষণের সঙ্গী। সেই ছেলেটাই এখন দাপিয়ে বেড়ায় শৃঙ্গ থেকে শৃঙ্গে। সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। শুক্রবার ওশিনিয়ার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি মাউন্ট গিলউয়ে-র চূড়ায় পা রাখলেন সত্যরূপ।
বাংলার অ্যাডভেঞ্চার মহলে সত্যরূপ সিদ্ধান্ত এক পরিচিত মুখ। সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পা রেখেছেন। এখন সাত মহাদেশের সাত আগ্নেয়গিরি জয়ের লক্ষ্যে চলছে একের পর এক অভিযান। পাপুয়ার নিউগিনির দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত মাউন্ট গিলউয়ে (৪৩৬৮ মিটার) ছিল তাঁর 'সেভেন ভলকানো সামিট'-এর পঞ্চম শৃঙ্গ। হিসেব মত গত বৃহস্পতিবার ছিল সামিটের সম্ভাব্য দিন। অঝোরে বৃষ্টির ফলে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য এক দিন পিছিয়ে যায় সামিট। অবশেষে শুক্রবার সকালে নিজেই টুইট করে খবরটা জানান কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরু প্রবাসী সত্যরূপ।
স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে 'স্কাই ইজ দ্য লিমিট'-এ বিশ্বাস করেন বছর ৩৫-এর সত্যরূপ। স্বপ্নের পথে পথে ছড়িয়ে থাকা বাধাগুলো টপকে, পেরিয়ে পৌঁছে যান রামধনু ছাড়িয়ে মেঘমুলুকে।
up above the rainbow Right among the clouds its 11Am 9Nov I am at the top of mt giluwe the highest volcano of oc… https://t.co/qZ0jlWpjJM
— Satyarup Siddhanta (@SatyarupS) November 9, 2018
অনেক 'প্রথম'-এর ডালি এনে উপহার দিয়েছে সত্যরূপ, কখনও বাংলাকে, কখনও বা সারা দেশকে। পাপুয়ার নিউগিনির এই সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরিতেও যেমন পা রাখা প্রথম ভারতীয় সে-ই। তবে যাকে ফোন করলে ওপ্রান্ত থেকে রোনান কিটিং-এর গলায় ভেসে আসে ‘ইফ টুমরো নেভার কামস্…’ , 'রেকর্ড', 'নজির' শব্দগুলোর ব্যাঞ্জনা তাঁর কাছে তুচ্ছ। কাল কী হবে, না ভেবে জীবনটাকে নিংড়ে নিয়ে সত্যরূপ বাঁচে প্রতিটা মুহূর্ত। স্বপ্ন থেকে ফিরছেন নতুন স্বপ্ন নিয়ে। পরবর্তী গন্তব্য কুমেরুর মাউন্ট সিডলি।