সমস্ত জল্পনার অবসান। ষষ্ঠ বিদেশিও চূড়ান্ত করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড আন্তোনিও পেরোসেভিচকে সই করাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। হাঙ্গেরিয়ান ক্লাব উজপেস্ট এফসিতে গত বছর খেলেছিলেন ক্রোট এই স্ট্রাইকার। প্রথম একাদশে ১৩ ম্যাচে খেলেছেন। তাঁকেই ম্যানুয়েল মানোলো দিয়াজ সই করিয়ে বিদেশির কোটা পূর্ণ করে ফেললেন।
২০১৭-য় ক্লাব স্তরে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে ডাক পান। লুকা মদ্রিচ, রাকিটিচদের সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলের খেলেছেন দুটো ম্যাচও। ইস্টবেঙ্গলে সই করে ক্রোট তারকা জানিয়ে দিয়েছেন, "ভারত দারুণ দেশ। শুনেছি ওখানে ফুটবলের ক্রেজ কী মারাত্মক! ইস্টবেঙ্গলের ফ্যান বেস নিয়ে তো এখানেও আলোচনা হয়। ওদের কথা অনেক পড়েছি। এখন লাল হলুদ জার্সি গায়ে চাপাতে তর সইছে না।"
আরও পড়ুন: হাজডজন লজ্জা! গর্বের এএফসি অভিযানে কলঙ্কের কালি সবুজ-মেরুনের
ক্লাবের কথা যেন ফুরোতেই চায় না পেরোসেভিচের। আরও বলেছেন, "ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য নিয়ে অনেক শুনেছি। যেভাবে সম্ভব সেই ইতিহাসের মর্যাদা দিতে দলকে সাহায্য করব।"
নিজের শহরের ক্লাব অসিজেক-এর যুব দলের হয়ে কেরিয়ার শুরু করেন ২০১০-এ। সেই বছরেই সিবালিয়ার বিরুদ্ধে দলের ২-০ জয়ের ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে নেমে সিনিয়র দলে অভিষেক ঘটে পেরোসেভিচের। এক মরশুম পরে ২০১১-১২-এ ওসিজেকের হয়ে লিগে সর্বোচ্চ স্কোরার হন সাত গোল করে।
ওসিজেকে সাফল্যের পরে বিদেশে পাড়ি দেন পেরোসেভিচ। ২০১৭-য় যোগ দেন হাঙ্গেরির পুসকাস একাডেমিতে। তার পরের মরশুমে লোনে চলে যান আমিরশাহির আল ইতিহাদ কালবা এফসি-তে।
ইস্টবেঙ্গলেও ওয়েবসাইটে পেরোসেভিচ বলেছেন, "ক্লাবের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে। নতুন এই অভিযানে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। সতীর্থ, কোচিং স্টাফের সকলের সঙ্গে আলাপের ইচ্ছা রয়েছে। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বির কথাও অনেক শুনেছি। এরকম ম্যাচ একজন প্লেয়ারকে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করে।"
ইস্টবেঙ্গল এর আগে বিদেশির কোটায় সই করিয়েছে স্লোভেনিয়ার মিডফিল্ডার আমির দেরভিসেভিচ, অস্ট্রেলিয়ান ডিফান্ডার টমিস্লাভ মার্সেলা, ক্রোয়েশিয়ান সেন্টার ব্যাক ফ্রানজো প্রেসি, নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমা চুকু এবং ডাচ ইউটিলিটি প্লেয়ার ড্যারেন সিডোয়েলকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন