Advertisment

রবিবারের ডার্বি নিষ্ফলা! তবু ভিকুনার তিকিতাকা মন কাড়ল

শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল বাগান। যত সময় গড়াল খেলাটা লাল-হলুদ রক্ষণ বনাম সবুজ-মেরুন মাঝমাঠ ও ফরোয়ার্ড ভাগের ডুয়াল হয়ে গেল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
East Bengal vs Mohun Bagan

ডার্বিতে যুবভারতীতে তীব্র লড়াই

রবিবাসরীয় বিকেলে ৬৫০০০ মানুষ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এসেছিলেন মরসুমের প্রথম ডার্বি দেখতে। অসাধারণ একটা ম্যাচ হলো ঠিকই। কিন্তু নব্বই মিনিট লড়েও কোনও দলই গোল পেল না। হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়লেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমকর্থকরা।

Advertisment

ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখল একটা ঝকঝকে ফুটবল। তুল্যমূল্য বিচারে কিবু ভিকুনার মোহনবাগান এগিয়ে থাকল আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের ইস্টবেঙ্গলের থেকে। শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল বাগান। যত সময় গড়াল খেলাটা লাল-হলুদ রক্ষণ বনাম সবুজ-মেরুন মাঝমাঠ ও ফরোয়ার্ড ভাগের ডুয়াল হয়ে গেল।

জোসেবা বেইতা, ভিপি সুহের, এসকে সহিল, নংদাম্বা নাওরেমদের সংঘবদ্ধ আক্রমণ কিন্তু বারবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল মেহতাব সিং, মার্টি ক্রেসপি, কমলপ্রীত, কাসিম আইদারাদের।

আরও পড়ুন ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান: ফিরে দেখা স্মরণীয় পাঁচ ডার্বি

‘স্প্য়ানিশ ডার্বি’তে মাঝমাঠে লুকিয়ে জেতার চাবিকাঠি

ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের দায়িত্ত্বে ছিলেন রোনাল্ডো-মার্কোস-ব্র্যান্ডনরা। বিরতির আগে পর্যন্ত দু'টো নাম মাঠে রাজ করল। বেইতিয়া-মার্টি। ডুরান্ড কাপের ফাইনাল হাত ছাড়া করা দলটা যেন আমূল বদলে গেল। পাসিং ফুটবলের দুরন্ত বিজ্ঞাপন দিলেন ভিকুনা। তাঁর ছেলেরা এদিন নিজেদের মধ্যে পাঁচটা-ছ'টা করে পাস খেলল। দেখতে গেলে বাগান রীতিমতো আধিপত্য নিয়েই একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিল। ভিপি সুহের যদি ওয়ান-টু-ওয়ানে রালতের হাতে মেরে না দিতেন, তাহলে বাগান এক গোলে এগিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত বিরতিতে।

দ্বিতীয়ার্ধে ভিপি সুহেরে জোড়া গোলের সুযোগ হাতছাড়া, কিছু চোরাগোপ্তা ও কয়েক'টা পরিবর্তন ছাড়া বলার মতো কিছুই থাকল না।

ইস্টবেঙ্গল: লালথামুইয়া, কমলপ্রীত, পিন্টু (সামাদ) কাশিম, মার্কোস (কোলাডো) রোনাল্ডো (বিদ্যাসাগর), ডিডিকা, ক্রেসপি, অভিষেক, মেহতাব ও ব্রেন্ডন

মোহনবাগান: দেবজিৎ, আশুতোষ, মোরান্তে, গুরজিন্দর, চুলোভা, সুরাবুদ্দিন (ব্রিটো), সাহিল, গঞ্জালেস, নাওরেম (জেসুরাজ) বেইতিয়া ও সুহের

East Bengal Kolkata Football Mohun Bagan
Advertisment