একসঙ্গে অনেক টেস্ট করা হয়েছিল। তারপরেই মাথায় হাত ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার। সংস্থার সাত জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সোমবারই একথা জানায় ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
দেশের সব ক্রিকেট সংস্থার কর্মী, বেশ কিছু চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, ফ্র্যাঞ্চাইজির ট্রেনিং স্কোয়াড সদস্যদের র্যান্ডম করোনা পরীক্ষা করা হয়। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকান সরকার ঘোষণা করে বডি কন্টাক্ট নয়, এমন খেলা শুরু করা যেতে পারে। তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের শুরুতে এমন ঘোষণা করার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট সংস্থার তরফে র্যান্ডম পরীক্ষার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই জানানো হয়, সেই পরীক্ষাতেই সাতজনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সংস্থার সিইও জ্যাকুয়েস ফাউল বলেন, "আমরা জানতাম, পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাবে। ১০০ জনের মধ্যে সাত জন- সংখ্যাটা কিন্তু বেশ কমই!" যদিও তিনি খোলসা করে জানাননি কোনো ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত কিনা। তাঁর যুক্তি, "আমাদের মেডিক্যাল প্রটোকল অনুযায়ী করোনা সন্ধান পাওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা উচিত নয়।"
এই সংক্রামক ভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে নয় মিলিয়ন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কিছু ক্রিকেটারও এই ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে নামি মুখ হিসাবে রয়েছেন- বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, পাক তারকা শাহিদ আফ্রিদি। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার সলো এনকোয়ি গত মাসে এই রোগের শিকার হন। তিনি অবশ্য গত এক বছর ধরে ব্যারে সিনড্রোম রোগে আক্রান্ত।
গোটা বিশ্ব জুড়েই লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। খেলা চালু করা হচ্ছে সতর্কতার সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড অভিনব টুর্নামেন্ট থ্রি টি টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ক্রিকেট শুরু করার পরিকল্পনায়। যেখানে তিনটে দল একসঙ্গে পরস্পরের মুখোমুখি হবে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কে।
২৮ তারিখে সেই টুর্নামেন্ট চালু হওয়ার আগেই করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই টুর্নামেন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, সেই টুর্নামেন্ট চালু করার আগে আরো সতর্কতা প্রয়োজন।