২৪ ঘণ্টা আগেই ৩ জনের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের হদিশ মিলেছিল। একদিন পেরোতে না পেরোতেই জানানো হল আরো আট জন পাক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত। এরপরেও ইংল্যান্ড সিরিজের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পিসিবি-র প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা ওয়াসিম খান জানিয়ে দিলেন, "ইংল্যান্ড সফর নির্দিষ্ট সময়েই হবে। সূচি মেনে ২৮ তারিখে দল রওয়ানা দিচ্ছে। সৌভাগ্যবশত, মহম্মদ রিজওয়ান বাদে সকলেই নেগেটিভ। এর অর্থ ইংল্যান্ডে আর একবার পরীক্ষায় ক্লিন চিট পাওয়ার পরে ট্রেনিং শুরু করতে পারবে ওরা।"
ঘটনা হল, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যতই আত্মবিশ্বাস দেখাক না কেন, এই সিরিজ নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে। হায়দার আলি, সাদাব খান এবং হ্যারিস রউফের পর এদিন আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন, ফখর জামান, ইমরান খান, কাশিফ ভাট্টি, মহম্মদ হাফিজ, মহম্মদ হাসনাইন, মহম্মদ রিজওয়ান, ওয়াহাব রিয়াজের মত তারকা ক্রিকেটার। দলের ম্যাসিউর মালং আলিও পজিটিভ। করাচি, লাহোর, পেশোয়ারে ৩৫ জনের মধ্যে এই টেস্টে ১১ জনের শরীরেই আপাতত ভাইরাস সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্ত দশ জনকেই সেল্ফ আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
ইংল্যান্ডে গিয়ে পাক ক্রিকেট দল তিনটে করে টেস্ট ও টি২০ খেলবে। অগাস্ট মাসের ৫ তারিখ থেকেই এই সিরিজ শুরু হওয়ার কথা। ওল্ড ট্রাফোর্ড এবং এজিয়াস বোলের বায়ো সিকিয়র পরিবেশে দুই দলের খেলার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে সূচি এখনও চূড়ান্ত নয়।
বহুদিন ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। তাই আর্থিক মুনাফার জন্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান সিরিজের বিষয়ে খেলতে আগ্রহী ইসিবি। ইসিবির ডিরেক্টর অ্যাশলে জাইলস নিজেও এই সিরিজের বিষয়ে আশাবাদী। তবু তাঁর গলায় উদ্বেগ, "যদি আরো কিছু কোভিড পজিটিভ আসে তাহলেও আমরা আশাবাদী। তবে আন্তর্জাতিক খেলায় এটা অনেকটাই আলাদা বিষয়। যে বিষয় আমাদের কাছে সঙ্কটের পরিস্থিতি ছুড়ে দেয়, সেটা বিপজ্জনক।"
ইংল্যান্ডে করোনার গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী। তবে পাকিস্তানে ভয়াবহ গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৪ জন। এমন অবস্থায় সিরিজ হওয়া কতটা সম্ভব না নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
জাইলস এপি-কে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, "সিরিজে এখনো পর্যন্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়েও। কারণ আমরা জানি কী দ্রুত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে।"
এই সিরিজ খেলতে মরিয়া পাকিস্তান বোর্ড। প্রথম পর্বের টেস্টিংয়ের পর নেগেটিভ ক্রিকেটাররা লাহোরে বায়ো নিরাপদ পরিবেশে থাকবেন আজ বুধবার থেকে। এরপর দ্বিতীয় দফায় টেস্টিং হবে। সেখানে নেগেটিভরাই ইংল্যান্ডগামী বিমানে উঠবেন। ইংল্যান্ডে পৌঁছনোর পর ফের একবার পরীক্ষা করা হবে। তারপরে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে ক্রিকেটারদের।
পাকিস্তানে যারা পজিটিভ ধরা পড়েছেন, তাদের আন্টি বডি টেস্ট করা হবে কিছুদিনের মধ্যেই। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তারপরে তাঁরা বাকি স্কোয়াডের সঙ্গে ইংল্যান্ডে যোগ দেবেন।