কেকেআর স্বাধীনতা দেয়নি। শাহরুখের বিরুদ্ধে এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই এক চ্যাট শো এ গৌতম গম্ভীর জানান, সৌরভের পরে তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরে, শাহরুখের তাঁকে নাকি জানান, "এটা তোমার দল। আমি হস্তক্ষেপ করবো না।"
সেই ঘটনার পরেই এবার সৌরভ সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্যের ইউটিউব চ্যানেলে জানান, "কিছুদিন আগেই একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম যেখানে গম্ভীর জানিয়েছিল, কীভাবে চতুর্থ সিজনে শাহরুখ ওকে নিজের মত করে দল পরিচালনা করতে বলে। তবে সেটা আমার ক্ষেত্রে হয়নি।"
সরাসরি শাহরুখের বিরুদ্ধে সৌরভ আরো জানান, "সেরা আইপিএল দল সেটাই যারা ক্রিকেটারদের উপরেই পুরো দায়িত্ব দেয়। সিএসকের দিকে দেখা যাক, ধোনি একাই দল পরিচালনা করে। মুম্বইয়ে কেউই রোহিতের কাছে গিয়ে অন্য ক্রিকেটারদের জন্য তদ্বির করে না।"
তিন মরশুম কেকেআরের নেতৃত্বে ছিলেন সৌরভ। তবে একবারও দলকে প্লে অফে তুলতে পারেননি। দুবার পরপর লিগে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করার পর সৌরভকে ২০১০ এর পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর পুনেতে চলে যান তিনি।
কেকেআরে বুকাননের সঙ্গে সংঘাত নিয়েও জানিয়েছেন মহারাজ। সৌরভ বলেন, "আমাদের চিন্তা ভাবনার ব্যাপক ফারাক ছিল। কোচ বিশ্বাস করতেন আমাদের চার জন ক্যাপ্টেন প্রয়োজন। উনি ভাবতেন, আমাকে চারজন অধিনায়ক দাও, তারপর পুরো দলটাই আমার। প্রথম মরসুমের শেষ দিক থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। আমি মোটেও সমস্যা ছিলাম না। সমস্যা ছিল একজন অধিনায়ক থাকা নিয়ে। আমাদের ম্যাকালাম ছিল, একজন এক্স ছিল। একজন বোলিং ক্যাপ্টেন ছিল। আর না জানি, কত ক্যাপ্টেন ছিল।"
প্রথম দুই মরশুমের পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় বুকাননকে। তৃতীয় মরশুম শেষে কেকেআরে অতীত হয়ে যান মহারাজ নিজেই।
এর আগে আকাশ চোপড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, “আইপিএলের প্রথম দিকে জন বুকানন ছিলেন। রিকি পন্টিং ছিলেন। সেই সময় ক্যাপ্টেন ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ওঁদের মধ্যে সম্পর্ক শুরুতে বেশ ভালো ছিল। তবে পরে তা খারাপ হয়ে যায়।”
আকাশ চোপড়া বলেছেন, “বুকাননের কাজ করার ধরণ আলাদা। আবার, সৌরভের টেম্পারমেন্টও অন্য রকম। শেষ পর্যন্ত সৌরভকে ক্যাপ্টেন্সিপ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বুকানন। যে কাজে পরের বছরেই তিনি সফল হন। প্রথম মরশুমে কেকেআর ষষ্ঠ স্থানে শেষ করে। সৌরভকে সরিয়ে দেওয়ার পর ম্যাকালামের নেতৃত্বে কেকেআর অষ্টম স্থানে ফিনিশ করে।”
জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের পর পরিস্থিতি একদম তলানিতে ঠেকে। দল একদম নিচে ফিনিশ করে। কোচকে ছাটিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভকে আরো একবার ক্যাপ্টেন করা হয়।
“বুকাননকে সরে যেতে হত শেষ পর্যন্ত। কিছু বিষয় অবশ্য বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলা হয়েছিল। আমি দলে ছিলাম বলে যে বিষয়টা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যেমন, তিন জনকে ক্যাপ্টেন করার কথা বলা হয়েছিল। এটা ঠিক নয়। আসলে একটা জিনিস ভুল হলে অন্যগুলোও ভুল হতে থাকে। ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমারই যেমন বুকাননের বিরুদ্ধে বলার রয়েছে। কোনোকিছুই সেই সময় ঠিক হচ্ছিল না।”