"এটা তোমার দল। তুমি যাই কর, আমি হস্তক্ষেপ করব না।"
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে নাইট ম্যানেজমেন্ট যেবার গম্ভীরকে দায়িত্ব দিয়েছিল, সেবার টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গম্ভীরকে এমন ভাষাতেই অভয়বাণী দিয়েছিলেন স্বয়ং শাহরুখ খান।
স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড অনুষ্ঠানে এসে গম্ভীর পুরোনো সেই দিনের কথা শোনালেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম শাহরুখ খান। আইপিএলে এমন সমীকরণ বহুল চর্চিত।শাহরুখের কেকেআরে অনেক আশা জাগিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মহারাজকে। তবে তিনবার সৌরভের নেতৃত্বে একবারও সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারছিল না বেগুনি জার্সির ক্রিকেটাররা। তারপরেই দলের হাল তুলে দেওয়া হয় গম্ভীরকে। বাঁ হাতি তারকা বলছিলেন, "শাহরুখের বক্তব্য ছিলো একটাই, তিন বছর হোক বা ছয় বছর- আমি যখন দল ছাড়বো, সেই সময় যেন দল আগের থেকে ভালো পজিশনে থাকে।"
কিং খানের আস্থার মর্যাদা দেন গম্ভীর। তিনি দলকে ২০১২ ও ২০১৪ দুবার চ্যাম্পিয়ন করেন। সেই সময় আইপিএলের তর্কাতীতভাবে অন্যতম সেরা দল ছিল কেকেআর।
কেমন নেতা ছিলেন গম্ভীর? কেকেআরের টিম ম্যানেজমেন্ট এর অন্যতম অংশ থাকা জয় ভট্টাচার্য জানাচ্ছিলেন, "গম্ভীর মোটেও ক্যাপ্টেন কুল নন। ও এমন একজন নেতা যে দলের প্রয়োজনে মাথায় বুলেট নিতেও দ্বিধা করবে না। এ দারুন প্যাশনেট ক্যাপ্টেন। যদি আপনি গম্ভীরের নেতৃত্বে খেলেন, তাহলে বুঝবেন বাইশ গজে তুমি কখনই একা নও। এটাই ও কেকেআরের সঙ্গে করেছিল।"
আগ্রাসী নেতৃত্ব, শীর্ষে থাকার ধারাবাহিকতা এবং সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, সূর্যকুমার যাদবদের মত প্রতিভাদের তুলে এনে কেকেআরকে কার্যত অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে কেকেআর যখন প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় তখন ১৬ ম্যাচে গম্ভীর ১৪৩.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ৫৯০ রান করেছিলেন।
টানা সাত মরশুম নেতৃত্ব দেওয়া গম্ভীর কেকেআরের এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক রান স্কোরার- ১২২ ম্যাচে ৩৩৪৫ রান।
২০১৮ সালে কেকেআর আরো একবার ভোল বদলে ফেলে। সেই সময় গম্ভীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গম্ভীরের বদলে নেতৃত্বে আনা হয় দীনেশ কার্তিককে। যার ক্যাপ্টেনশীপে নাইটরা ২০১৮ এ তৃতীয় স্থান দখল করে। ২০১৯ এ অল্পের জন্য প্লে অফে উঠতে ব্যর্থ হয় কেকেআর।