করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার দুই দফায় লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে ঘরে কোনোরকমে ফিরলেও অধিকাংশ ব্যক্তি ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছেন। এমনই একজন শাহবাজ নাদিম।
লকডাউনের ফলে কলকাতায় না ফিরতে পেরে ধানবাদেই আটকে পড়েছেন জাতীয় দলের তারকা স্পিনার। নিজের দুর্দশা বোঝাতে গিয়ে জাতীয় এক প্রচার মাধ্যমে নাদিম বলছিলেন, "আমার স্ত্রী-র ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে। গত চার-পাঁচ মাস ধরে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন মেনেই ওষুধ নিচ্ছে ও। তবে এই মুহূর্তে বেশ দুর্বল, গা বমি বমি ভাবও রয়েছে।"
ঝাড়খণ্ডের বসিন্দা হলেও নাদিম কলকাতা নিবাসী বর্তমানে। লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ঝাড়খণ্ড ছেড়েছিলেন। তবে সরকারি নিয়ম মেনে ভিনরাজ্য থেকে পশ্চিম বঙ্গে ঢুকতে পারেননি। এমনটাই জানিয়েছেন তার শৈশবের কোচ রহমান। তবে সরকারের অনুমতি নিয়ে কলকাতায় ফিরতে পারার বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
আইপিএলের পরিচিত মুখ তিনি। ক্রোড়পতি লিগে এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে খেলার কথাও ছিল তাঁর। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম্যান্স এর সুবাদে গত বছর জাতীয় দলে অভিষেকও ঘটে নাদিমের।
মার্চের শেষ সপ্তাহের আগেই সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। ১৫ এপ্রিল প্রথম দশার লকডাউন মিটলেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় আরো দ্বিতীয় দফায় ৩মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ভারতে এখনো পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মিলেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ৫০০ ছাড়িয়েছে।
করোনার হানায় বিশ্বক্রীড়ার মতো থমকে গিয়েছে ভারতের খেলাও। ঘরোয়া ক্রিকেটে ইরানি ট্রফি বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ বাতিল করে দেশে ফিরে গিয়েছে। লকডাউনের পর প্রথমে আইপিএল ১৫এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হলেও মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য আইপিএল স্থগিত করেছে বিসিসিআই। টি ২০ বিশ্বকাপের আগেই আইপিএল আয়োজনের মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে বিসিসিআই।