Mohammad Rizwan and Don Bradman: টি২০-র ডন ব্র্যাডম্যান খেলেন পাকিস্তানের হয়ে! আজব দাবি করে এবার হাসির খোরাক হলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাহিন আফ্রিদি। তবে, নিজেকে ডন ব্যাডম্যানের আসনে বসানোর সাহস দেখাননি আফ্রিদি। তিনি এই কার্যত কাঁটার মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন মহম্মদ রিজওয়ানকে।
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার ডন ব্যাডম্যান। যাঁর রানের গড়ের সঙ্গে কোনও ব্যাটারের কখনও তুলনাই আসে না। আর, সেই ব্যাডম্যানের সঙ্গেই কিনা মহম্মদ রিজওয়ানের তুলনা টেনে বসেছেন শাহিদ আফ্রিদি। স্বভাবতই সোশ্যাল মিডিয়ায় তারপর থেকেই তিনি রীতিমতো হাসির খোরাক।
তবে, আফ্রিদির অনুরাগীরা বলছেন, আচমকা তিনি ডন ব্যাডম্যানের তুলনা টেনে বসেননি। রিজওয়ান টি-২০ ক্রিকেটে ৩,০০০ রান করেছেন। তার জেরে আফ্রিদির এই বিরাট কথা।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টি-২০ ক্রিকেটে ৩,০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন রিজওয়ান। তবে, টি-২০ ক্রিকেটে ৩,০০০ রান কিন্তু রিজওয়ান একা করেননি। শুধুমাত্র পাকিস্তানেই আরও একজন আছেন যিনি ইতিমধ্যে টি-২০ ক্রিকেটে ৩,০০০ রানের সীমা পার করেছেন। তিনি হলেন বাবর আজম।
ফলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহিনের অজ্ঞতা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হিসেব দিয়ে দিয়েছেন যে রিজওয়ান ৩,০০০ রান করতে ২,৩৪৯ বল নিয়েছেন। আর, বাবর আজম নিয়েছেন, তার চেয়ে অনেকটাই কম- ২,৩১৭ বল।
ভারতের বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মারা নিয়েছেন আরও কম বল। বিরাট কোহলি ২,১৬৯ বলে ৩,০০০ রান করেছেন। আর, রোহিত শর্মা ২,১৪৯ বলে টি-২০ ক্রিকেটে ৩,০০০ রান করেছেন।
এসব না জেনেই শাহিন আফ্রিদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'টি-২০ ক্রিকেটের ব্র্যাডম্যান ও পাকিস্তানের সুপারম্যান মহম্মদ রিজওয়ানকে ৩,০০০ রান করার জন্য অভিনন্দন! আপনি খেলাকে বদলে দিয়েছেন। আপনার দিকে যাঁরা আঙুল তুলেছিল, তাঁদের থামিয়ে দিয়েছেন। আপনি, চ্যাম্পিয়ন! আপনি আমাদের অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।'
আরও পড়ুন- এই দু-জনই ওপেন করুন বিশ্বকাপে! একাধিক তারকার হৃদয় ভেঙে মনের ইচ্ছা জানালেন সৌরভ
এসব পড়ে নেটিজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, জুনেই তো টি-২০ বিশ্বকাপ। সেখানে কী হবে? তাঁদের একথা বলার কারণ, বাবর আজম বা রিজওয়ানরা অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত গত টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রায় কিছুই করতে পারেননি। বরং, ফাইনালে পাকিস্তানি পেসারদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। যদিও বেন স্টোকসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মেলবোর্নকে বাধ্য করেছিল ইংল্যান্ডের হাতেই টি-২০ বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দিতে।