বোর্ড মিটিং সেরে উঠেই বোর্ডে দ্বিতীয় টার্মে সচিব হওয়া জয় শাহ বিরাট বার্তায় জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারত আগামী বছর এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান যাবে না। বোর্ডের এজিএম সেরে উঠেই মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে জয় শাহ জানিয়েছিলেন, "পাকিস্তানের জন্য আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতি রয়েছে। ওখানে খেলতে গেলেও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। এশিয়া কাপ আগামী বছর পাকিস্তানে আয়োজিত হওয়ার কথা। তবে এটা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করা হবে।”
এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে ভারত এভাবে সরাসরি হুমকি দেওয়ায় মোটেই ভালভাবে নেয়নি পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই ওয়াঘার ওপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে জয় শাহের মন্তব্যে। এমন আবহেই এবার জয় শাহ-কে চরম আক্রমণ করে বসলেন শাহিদ আফ্রিদি। তিনি বলে দিলেন, টি২০ বিশ্বকাপের আগে এমন মন্তব্য অনভিপ্রেত।
আরও পড়ুন: মমতার কথায় কান-ই দিল না জয় শাহের BCCI! সৌরভকে ছেঁটে ফেলে কড়া বার্তা বোর্ডের
শাহিদ আফ্রিদি টুইটারে সরাসরি লিখে দিয়েছেন, "গত ১২ মাসে দুই দলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এমন আবহে বিসিসিআই সচিব ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচের ঠিক আগেই কেন এমন মন্তব্য করলেন? ভারতে ক্রিকেট প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞতার ছাপ পড়ছে এতে।"
অর্থাৎ দ্বিতীয়বার বোর্ডের তখতে বসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে তাঁর অভিজ্ঞতা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন শাহিদ আফ্রিদি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নয়, দুই দেশ আপাতত ক্রিকেট ময়দানে অবতীর্ণ হয় আইসিসি ইভেন্ট এবং এশিয়া কাপে। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন ক্রিকেট সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সৌরভের বিদায়ের দিনেই বোর্ডে ঠাঁই বাংলার তারকা প্রশাসকের! দেওয়া হল বিরাট দায়িত্ব
রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে শেষবার ভারতীয় দল পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ২০০৫-এ। যিনি বর্তমানে জাতীয় দলের হেড কোচ। ২০০৮-এ পাকিস্তানে আয়োজিত এশিয়া কাপে যায়নি ভারত। চলতি বছরে দেশের টালমাটাল অবস্থার কারণে শ্রীলঙ্কা আয়োজক দেশ হিসেবে নিজেদের দেশের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারেনি। তারপরে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আমিরশাহিতে।
গত মাসে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দুই দলই দু-বার মুখোমুখি হয়েছিল। টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে ভারত-পাকিস্তান লড়াই অক্টোবরের ২৩ তারিখে। মেলবোর্ন দুই দলের ধুন্ধুমার যুদ্ধের সাক্ষী থাকবে। মেলবোর্নে দুই দেশের লড়াই দেখতে মাঠে হাজির থাকবেন ৯০ হাজারের বেশি দর্শক। এমনটাই অনুমান।