Shahid Afridi: যত দিন এগোচ্ছে, পহেলগাঁও হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের উপর ভারতের জনরোষ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি AIMIM নেতা ওয়ারিস পাঠান পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে ISI-এর কুকুর বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বীরদর্পে ঘোষণা করেন, 'আমাদের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আফ্রিদিকে জোকার বলে উল্লেখ করেছিলেন। আর আমি বলছি, ও আসলে ISI-এর একটা কুকুর।' একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে এসে এমনই মন্তব্য করেছেন পাঠান। সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে আমরা মোদী সরকারের পাশেই রয়েছি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, আমরা সেটাকেই সমর্থন করব।
পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে আমরা সরকারকে সমর্থন করব - ওয়ারিস
ওয়ারিস পাঠান আরও বললেন, 'ভারতের এই চরম সংকটের মুহূর্তে আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই সমর্থন করব। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, সেকথা আমরা সকলেই জানি। এই পরিস্থিতে পাকিস্তানকে ধ্বংস করার জন্য দেশের ১৪০ কোটি জনগণ নরেন্দ্র মোদীকেই সমর্থন করবে।'
পহেলগাঁও হামলা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন শাহিদ আফ্রিদি
আসলে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। এই নিন্দনীয় ঘটনার জন্য তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভারতের উইং কম্যান্ডান অভিনন্দন বর্তমানকেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
আফ্রিদি সহ বেশ কয়েকজন পাক ক্রিকেটারের ইনস্টা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আফ্রিদি সহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের। ইতিপূর্বে, সরকার প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনার পদকজয়ী জ্যাভেলিন তারকা আরশাদ নাদিমের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিয়েছিল।
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেলও
এখানেই শেষ নয়। গত ২ মে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে, ভারতের ১৬ পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছিল।
আপনারা হয়ত এখনও ভোলেননি, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিচারে গুলি চালায়। এই ঘটনায় ২৬ নিরাপরাধ পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তান ক্রমাগত ভারতকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।