শোয়েব আখতার বনাম কপিল দেবের দ্বৈরথে এবার অবতীর্ণ শাহিদ আফ্রিদি। সরাসরি সতীর্থকে ইন্দো-পাক সিরিজের বিষয়ে সমর্থন করার পাশাপাশি কপিল দেবকেও একহাত নিলেন তিনি।
বিশ্বজোড়া সংকটের সময়ে ইন্দো-পাক সিরিজের প্রস্তাব দিয়ে শোয়েব আখতার জানিয়েছিলেন, চ্যারিটি ম্যাচ থেকে সংগৃহীত অর্থ দুদেশ ভাগ করে নিক।
এরপরেই শোয়েবের দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এর পরেই আফ্রিদি আসরে অবতীর্ণ হয়ে জানিয়ে দিলেন নিজের মতামত।
পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, কোহাটে সাংবাদিকদের আফ্রিদি জানিয়েছেন, "গোটা বিশ্ব করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই মুহূর্তে আমাদের এলাকায় একত্রিত হওয়া উচিত। এমন নেতিবাচক মন্তব্য মোটেই সাহায্য করবে না এই মুহূর্তে।"
শোয়েবকে সরাসরি সমর্থন জানিয়ে পাক ব্যাটসম্যান বলেন, "ভারত-পাকিস্তান সিরিজের যে প্রস্তাব দিয়েছে শোয়েব এতে তো খারাপ কিছু নেই। কপিলের প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো অবাক হয়েছি। ওঁর কাছ থেকে আরো ভাল কিছু আশা করেছিলাম। সংকটের মুহূর্তে এমন মন্তব্য করা মোটেই উচিত নয়।"
করোনা মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যে তিনটি একদিনের ম্যাচের সিরিজ খেলার প্রস্তাব দেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। যার পরেই কপিলদেব সাফ জানিয়েছিলেন, "ওঁর নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। তবে অর্থ সংগ্রহের জন্য ভারতের ম্যাচ খেলার দরকার নেই। যেটা আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় তা হল সংকট মেটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে একত্রে কাজ করতে পারে। টিভিতে এখনও দোষের খেলা চলছে। এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ হওয়া দরকার।"
পাশাপাশি যিনি আরো জানান, "পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি যে স্বাভাবিক হবে এমন সম্ভাবনা কম। এমন মুহূর্তে ম্যাচ আয়োজন করে বিপদ বাড়ানোর দরকার নেই। তিনটে ম্যাচ খেলে কটা টাকাই বা পাওয়া যাবে।"
প্রতিবেশী দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া আসার পরই শোয়েব আবার পালটা জানান, “আমার মনে হয় যে আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা কপিলভাই বুঝতে পেরেছেন। তবে ওঁর টাকার প্রয়োজন নেই ঠিকই, বাকিদের আছে। আমি ওনাকে যথেষ্ট সম্মান করি। উনি খুব ভালো মানুষ। উনি খুবই যত্নবান মানুষ। পাকিস্তানের পর ভারতেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা পেয়েছি।”