শাকিব আল হাসানকে আসাধারণ বললেও কম বলা হয়। দেশের 'প্রকৃত নায়ক' কিম্বা 'বিগ ম্য়াচ প্লেয়ার' শব্দবন্ধগুলোর প্রতি বারবার সুবিচার করেন তিনি। পদ্মাপারের দেশের নয়নের মণি শাকিব। মাশরাফি মোর্তাজার দলের সুপারস্টার আরও একবার প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার।
সোমবার টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বল হাতে জোড়া উইকেট তুলে নেওয়ার পর, ব্যাট হাতেও কামাল করলেন। আপরাজিত ১২৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে অনবদ্য জয় উপহার দিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২১ রান তাড়া করে সাত উইকেটে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন শাকিবরা।
মাশরাফিদের এই জয় প্রত্য়াশা করেননি অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাও। শুধু শাকিবই নন, লিটন দাসও এই জয়ের কারিগর। ৯৪ রান করেছেন তিনিও। শাকিবের ব্য়াটে রেকর্ডের ঝুলঝুরি ছুটেছে টনটনে। দেখে নিন তিনি আর তাঁর দল কী কী রেকর্ড করল উইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
১) এই মুহূর্তে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শাকিব। ১২৪ রানের ইনিংসের পর তাঁর স্কোর এখন ৩৮৪। শাকিবের পরেই দু'নম্বরে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ (৩৪৩ রান)। তিনে আছেন ভারতের হিটম্যান রোহিত শর্মা। তাঁর ঝুলিতে ৩১৯ রান।
২) বিশ্বকাপের ইতিহাসে রান তাড়া করে জেতার ক্ষেত্রে ইতিহাস লিখল বাংলাদেশ। এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান চেজ করে জয়ের নজির হয়ে থাকল। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিল আয়ারল্যান্ড।
৩) শাকিবের ১২৪ রানের ইনিংসের সঙ্গেই তাঁর কেরিয়ারে একটা অনন্য রেকর্ড হয়ে গেল। ওয়ান-ডে ফর্ম্যাটে টানা পাঁচ ম্যাচে ফিফটি-প্লাস স্কোর করলেন তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এটাই সেরা। এর আগে তামিম ইকবাল এরকম সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন।
৪) শাকিবের ১২৪ রানের ইনিংস তাঁর দেশের কোনও ক্রিকেটারের পক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে মাহমদুল্লাহ রিয়াদ ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
৫) শাকিব ১৯০টি ইনিংস খেলে ওয়ান-ডে ফর্ম্যাটে ৬০০০ রান পূর্ণ করলেন। ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্য়ান বীরেন্দ্র শেহওয়াগও ৬০০০ রান করতে সমসংখ্যক ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু শাকিব যুবরাজ সিং ও কুমার সঙ্গকারার চেয়ে কম ইনিংস খেলে মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন।
৬) শাকিব ১৯৯ ম্যাচে ২৫০টি উইকেট নিলেন। দ্বীপরাষ্ট্রের কিংবদন্তি পেসার চামিণ্ডা ব্যাসের চেয়ে কম ম্যাচে এই রেকর্ড করলেন শাকিব।