/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Shakib_umpire.jpg)
ফের আম্পায়ারের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন সাকিব আল হাসান। বিপিএলে খেলা ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম ফরচুন বরিশালের মধ্যে। সেই ম্যাচেই আগুনে পরিস্থিতি তৈরি করলেন সাকিব আল হাসান।
বরিশালের ব্যাটিংয়ের ১৬ তম ওভারের ঘটনা। সেই সময় স্ট্রাইকার্সের রেজাউর রহমান স্লো বাউন্সার দেন। আম্পায়ার তাতে ওয়াইড দেননি। ব্যাটিং প্রান্তে ছিলেন সাকিব। তিনি আম্পায়ারের কাছে ওয়াইড বলের দাবি জানান। মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ডেলিভারিতেও ওয়াইড না মেলায় অসন্তুষ্ট হন বাংলাদেশি তারকা।
এরপরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। ক্ষিপ্ত সাকিব চিৎকার করে আম্পায়ারের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু করেন। শেষমেশ পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে এগিয়ে আসেন সিলেট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সাকিব ৬৭ রান করলেও তাঁর দল ৬ উইকেটে ম্যাচ হেরে বসে। নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় এবং জাকির হাসান ত্রয়ী মিলে বরিশালের ১৯৫ রানের টার্গেট চেজ করে দেন।
Shakib Al Hasan is not especially pleased with this non-wide call...#BPL2023pic.twitter.com/vqkyK6O57h
— Wisden (@WisdenCricket) January 7, 2023
কয়েকদিন আগেই সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে একহাত নিয়েছিলেন। সাকিব বিষ্ফোরকভাবে বিসিবি কর্তাদের ঠুকে বৃহস্পতিবার বলে দেন, “ওঁরা যদি আমাকে বিপিএল-এর সিইও করে, সবকিছু ঠিকঠাক করতে আমার মাত্র এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। সকলেই তো নায়ক সিনেমা দেখেছেন? যদি কারোর কিছু করার ইচ্ছা থাকে, সেটা একদিনেও করা সম্ভব।"
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর রাগে অনিল কাপুর হতে চাইছেন সাকিব! অলরাউন্ডারের বিস্ফোরণে কেঁপে গেল বাংলাদেশ
বিপিএলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলে দিয়েছেন, “প্লেয়ারদের ড্রাফট এবং নিলাম একদম ঠিক সময়ে করে দেখিয়ে দেব। আন্তর্জাতিক সূচি দেখে ফাঁকা সময়ে বিপিএল আয়োজন করা হবে। ক্রিকেটের সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে হোম-এওয়ে ভিত্তিতে ভালো মানের সম্প্রচার ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করব।”
টুর্নামেন্টের মান জানি না। তবে আমরা জনপ্রিয় করতে পারিনি নাকি করার চেষ্টা করিনি, সেটা বিষয়। বাংলাদেশে যা সম্ভবনা রয়েছে, তাতে এই টুর্নামেন্ট আরও বেশি জনপ্রিয় না হওয়ার তো কোনও কারণ নেই। আমার মনে হয় আমরা কোনওদিনই সদিচ্ছা নিয়ে প্রচেষ্টা করিনি। যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না। সঠিকভাবে ডিআরএস প্রযুক্তি প্রয়োগ হোক বা তিন মাস আগে নিলাম পর্ব, দু-মাস আগে টিম কনফার্ম করে ফেলাই যায়। প্লেয়াররা কেবলমাত্র দু-একটা ম্যাচে খেলতে পারে। কেউই জানে না কোন ক্রিকেটার কটা ম্যাচ খেলবে।” এমন ভাষাতেই হতাশা উগরে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রিমিয়াম এই অলরাউন্ডার।