এক বছরের জন্য নির্বাসনে সাকিব আল হাসান। এর জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। দুষছেন ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি না নেওয়ার জন্য। ক্রিকবাজের এক চ্যাট শো এ সাকিব হর্ষ ভোগলের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছেন, "আমাকে বেটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টাকে একদমই হালকা ভাবে নি-ই। আমি যখন দুর্নীতি বিরোধী কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে সব কথা বললাম। তখন দেখলাম ওঁরা সবই জানেন। সত্যি কথা বলতে আমি এই কারণেই মাত্র এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছি। নাহলে ৫-১০ বছর ব্যানও হতে পারতাম।"
৩৩ বছরের তারকা ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হওয়ার আগে দারুণ ফর্মে ছিলেন। বিশ্বকাপে ৬০৬ রান করেছিলেন। তিনি আপাতত অনুশোচনায় ভুগছেন। "বোকার মতোই এক ভুল করেছিলাম আমি। কারণ আমার অভিজ্ঞতা অনেক। আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি প্রচুর। দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে ক্লাসও তো কম করিনি! আমার ওই ভুল করা একদমই উচিত হয়নি। যে ভুলের জন্য আমি ভীষণ অনুতপ্তও।" বলছেন তিনি।
নিজে ক্রিকেটের কালো জগতের শিকার। তাই ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের জন্যও তাঁর পরামর্শ থাকছে। এই ভুল যাতে উঠতি ক্রিকেটাররা না করেন সেই জন্য সাকিব বলেছেন, "কেউ বুকি বা অন্য কোনোরকম ফোন কল পেলে হালকা ভাবে নিও না অথবা স্রেফ ছেড়ে দিও না। আমাদের তৎক্ষণাৎ আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী শাখাকে জানাতে হবে। যাতে আমরা নিরাপদে থাকতে পারি। এই শিক্ষাই এই কয়েকদিনে পেলাম। এটা একটা বড় শিক্ষা।"
অক্টোবরের ২৯ তারিখে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সাকিবের। তিনি অনুতাপ করে বলছেন, একটু বেশিই উদ্ধত হয়ে গিয়েছিলেন। বুকির প্রস্তাব তাই হালকা ছলেই নেন তিনি। "যখন তুমি কেরিয়ারের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত ঠিক নাও, তখন একটু বেশিই উদ্ধত হয়ে পড় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। তোমার ভুল হয়ত তুমি উপলব্ধি করতে পারছ না। আমি কখনই ভাবতে পারিনি যে এটা ভুল হতে পারে। আমার খালি মনে হয়েছিল, এতে কি আর হবে! ছেড়ে দাও। তবে সেই ভুলটা হয়েই গিয়েছিল।" জানাচ্ছেন সাকিব।