বিপণনে আইপিএলের ধারেকাছে নেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। সেই কারণেই এবার চাঁচাছোলা ভাষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আক্রমণ করে বসলেন সাকিব আল হাসান। সেই প্রসঙ্গে সরাসরি অনিল কাপুর অভিনীত নায়ক সিনেমার কথাও উল্লেখ করলেন।
নায়ক সিনেমায় অনিল কাপুর অভিনীত চরিত্রের নাম শিবাজি রাও। যাঁকে রাষ্ট্রের দুর্নীতি রোধ করার জন্য একদিনের জন্য মুখমন্ত্রী করা হয়। সাকিব বিষ্ফোরকভাবে বিসিবি কর্তাদের ঠুকে বৃহস্পতিবার বলে দেন, "ওঁরা যদি আমাকে বিপিএল-এর সিইও করে, সবকিছু ঠিকঠাক করতে আমার মাত্র এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। সকলেই তো নায়ক সিনেমা দেখেছেন? যদি কারোর কিছু করার ইচ্ছা থাকে, সেটা একদিনেও করা সম্ভব।
আইপিএলের জাঁকজমক দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ২০১২-য় বিপিএল চালু করে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে। পরবর্তীতে এক ফ্র্যাঞ্চাইজির সংযোজন ঘটে। বিপিএলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলে দিয়েছেন, "প্লেয়ারদের ড্রাফট এবং নিলাম একদম ঠিক সময়ে করে দেখিয়ে দেব। আন্তর্জাতিক সূচি দেখে ফাঁকা সময়ে বিপিএল আয়োজন করা হবে। ক্রিকেটের সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে হোম-এওয়ে ভিত্তিতে ভালো মানের সম্প্রচার ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করব।"
বিপিএল-এর ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেটশিকারী সাকিব। তাঁর অভিযোগ আরও বেশি জনপ্রিয় করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিসিবি। "টুর্নামেন্টের মান জানি না। তবে আমরা জনপ্রিয় করতে পারিনি নাকি করার চেষ্টা করিনি, সেটা বিষয়। বাংলাদেশে যা সম্ভবনা রয়েছে, তাতে এই টুর্নামেন্ট আরও বেশি জনপ্রিয় না হওয়ার তো কোনও কারণ নেই। আমার মনে হয় আমরা কোনওদিনই সদিচ্ছা নিয়ে প্রচেষ্টা করিনি। যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না। সঠিকভাবে ডিআরএস প্রযুক্তি প্রয়োগ হোক বা তিন মাস আগে নিলাম পর্ব, দু-মাস আগে টিম কনফার্ম করে ফেলাই যায়। প্লেয়াররা কেবলমাত্র দু-একটা ম্যাচে খেলতে পারে। কেউই জানে না কোন ক্রিকেটার কটা ম্যাচ খেলবে।" এমন ভাষাতেই হতাশা উগরে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রিমিয়াম এই অলরাউন্ডার।