Shakib Al Hasan Faces ACC Probe Amid Bangladesh’s Political Shake-up: বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর নিশানায় এবার সেদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলেই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। সাকিব আওয়ামি লিগ জমানায় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই তিনি দেশছাড়া। দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে, এমনই আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন সাকিব। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিদ্বেষের কারণেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সাকিব।
তাঁর সেই আশঙ্কাই কি অবশেষে সত্যি হল? রবিবার (৬ এপ্রিল) দুদক-এর চেয়ারম্যান ড. মহম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়ছেন, ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাকিব নিজেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের বিজ্ঞাপনের মুখ ছিলেন। এই বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে রবিবার প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা।
হাসিনা জমানায় ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় সাকিবকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করেছিল দুদক। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চুক্তিও হয়েছিল। দুদকের 'হটলাইন-১০৬' চালুর সময়ও সাকিবকে এই দুর্নীতিদমন সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, পরবর্তীতে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০২২ সালে সাকিবকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের ভূমিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল দুদক।
এনিয়ে সাকিব কিছু মুখ না খুললেও, তাঁর পরিস্থিতি সহজেই অনুমেয়। বাংলাদেশে সাকিবের ফ্যান ও ফলোয়ার কম নেই। কিন্তু, বর্তমানে সেখানে মহম্মদ ইউনুসের সরকার রয়েছে। হাসিনা সরকারে যাঁরাই নানা ক্ষমতায় ছিল, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে তল্লাশি এবং ধরপাকড় চলছে বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরাও ছাড় পাচ্ছেন না।
সাকিব চেয়েছিলেন বাংলাদেশে তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলতে। আর, তারপরই টেস্ট কেরিয়ার থেকে অবসর ঘোষণা করতে। কিন্তু, তাঁকে সেটা করতে দেওয়া হয়নি। উলটে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল থেকে তাঁকে সরাসরি না হলেও ঘুরিয়ে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাকিবের ঘনিষ্ঠরা। তাতে অবশ্য নিত্যদিন হানাহানির মধ্যে থাকা বাংলাদেশের চালচিত্রে বা সাকিবের পরিস্থতিতে কোনও বদল আসেনি।
আরও পড়ুন- এই তো সুযোগ! দু'হাতে টাকা কামিয়ে নিন, চটপট দেখুন আপনার আজকের ড্রিম ইলেভেন
সাকিব জমানায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা শেখ হাসিনাও বর্তমানে দেশছাড়া। শুধু তিনিই নন। বাংলাদেশে হাসিনা জমানার অন্যান্য নেতারাও দেশ ছেড়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেককে আবার দেশ ছাড়তেও দেওয়া হয়নি। দেশ ছাড়ার আগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকী বিমানবন্দর থেকেই আটক করা হয়েছে আওয়ামি লিগ জমানার নেতা, প্রশাসকদের।