Shan Masood: ভাইটালিটি টি২০ ব্লাস্ট খেলা চলছে বিলেতে। ম্যাচ ছিল ইয়র্কশায়ার বনাম ল্যাংকশায়ারের। সেই ম্যাচেই ইয়র্কশায়ার ক্যাপ্টেন শন মাসুদ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। হেডিংলের লিডসে অদ্ভুত এই ঘটনা ঘটল।
১৫তম ওভারের ঘটনা। সেই ওভারে অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল রাম্প করে লেগ সাইডে পাঠাতে চেয়েছিলেন মাসুদ। বাঁ হাতি তারকা ঠিকমত বল টাইম করতে পারেননি। সোজা তাঁর হেলমেটের গ্রিলে এসে বল আছড়ে পড়ে। তারপর সেই বল উইকেটকিপারের পাশ দিয়ে শর্ট থার্ডলেগের দিকে ধাবিত হয়। শন মাসুদের সঙ্গেই ক্রিজে ব্যাটিং করছিলেন জো রুট। মাসুদ সেই বলে সিঙ্গলসের ডাক দিলে জো রুট স্ট্রাইকিং এন্ডে পৌঁছে যান। তবে দোনোমনো করতে থাকা মাসুদ হঠাৎ নিজেকে ক্রিজের মাঝপথে আবিষ্কার করেন। উইকেটকিপার সেই সময় বল নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ছুড়ে দিলে বোলার স্ট্যাম্প নাড়িয়ে দেন।
তবে তা সত্ত্বেও শন মাসুদ দিনের শেষে সেই ঘটনায় নটআউট থাকলেন। আসলে সেই ডেলিভারি ছিল নো বল। সেই বলেই রাম্প শট হাঁকানোর সময় স্ট্যাম্পের ওপর পা লাগিয়ে ফেলেন তিনি। সেই ঘটনা লক্ষ্য করেননি ল্যাংকশায়ার প্লেয়াররা।
শন মাসুদ যখন নন স্ট্রাইকিং এন্ডের দিকে দৌঁড়েছিলেন সেই সময়েই ফিল্ড আম্পায়ার নো বলের সঙ্কেত করেন। শন মাসুদ সেই সময় ধরেই নিয়েছিলেন তিনি আউট। হতাশ হয়ে সেই সময় তিনি ল্যাংকাশায়ার ক্রিকেটারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। বল তাঁর হেলমেটে লাগায় তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন তাঁর শুশ্রূষার বন্দোবস্ত করা হবে। জো রুট পীড়াপীড়ি না করলে তিনি কখনই রান নেওয়ার চেষ্টা করতেন না।
এরপরেই দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গ্রাহাম লয়েড এবং মিডলব্রুক স্বল্প আলোচনা সেরে নট আউটের পক্ষে রায় দেন। আইসিসির নিয়মের ৩১.৭ ধারা প্রয়োগ করেন তাঁরা।
কী বলা হচ্ছে আইসিসির ৩১.৭ ধারায়
আউট হয়ে গিয়েছেন এমন ভুল ধারণার বশে যখন কোনও ব্যাটার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন, তারপর তাঁকে আউট করা হলে আম্পায়ার গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে পুরো বলটিকে ডেড ঘোষণা করে আউটের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে শন মাসুদ শট হাঁকানোর সময় উইকেটের উঠে পড়েন, এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে তিনি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। ধরে নেন তিনি আউট হয়ে গিয়েছেন। তবে বলের বৈধতা সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন না। সেই কারণেই শেষমেষ নটআউট ঘোষণা করা হয় তাঁকে।
পাশাপাশি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কনকাশন সংক্রান্ত নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। ইসিবির কনকাশন সংক্রান্ত নিয়মে স্পষ্ট বলা রয়েছে, কোনও ব্যাটারের মাথায় বল আঘাত করলে সঙ্গেসঙ্গেই সেই বল ডেড ঘোষণা করতে হবে। সেই বল পরবর্তীতে কোন ঘটনার অভিঘাত জন্ম দিয়েছে, তা বিবেচনা না করেই সঙ্গেসঙ্গেই সেই বল ডেড ঘোষণা করতে হবে। শন মাসুদের বল হেলমেটে বল আঘাত করার পর তিনি উইকেট মাড়িয়ে দেন। তাই তাঁকে আউট দেওয়া হয়নি।