অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের গল্প এবার দু’মলাটে বন্দি। শীঘ্রই প্রকাশিত হচ্ছে স্পিনের জাদুকরের আত্মজীবনী ‘নো স্পিন’। ফ্ল্যামবয়েন্ট এই ক্রিকেটারের জীবনে খ্যাতির হাত ধরেই এসেছে বিতর্ক। অস্ট্রেলিয়ার সোনালী প্রজন্মের ক্রিকেটের অন্যতম মুখ ওয়ার্ন। তাঁর বর্ণাঢ্য কেরিয়ারের রয়েছে বহু উপাখ্যান। নো স্পিন প্রকাশের আগেই ঝড় উঠে গেল। ফের একবার প্রকাশ্যে ওয়ার্ন-স্টিভ ওয়া দ্বৈরথ। প্রাক্তন সতীর্থ ও বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেনকে এবার ধুয়ে দিলেন ওয়ার্ন।
৭০৮ উইকেটের মালিক ওয়ার্ন রীতিমতো তোপ দাগলেন ওয়ার বিরুদ্ধে। বললেন, “আমার দেখা সবচেয়ে স্বার্থপর ক্রিকেটার ওয়া। ও শুধুমাত্র নিজের গড় ৫০ হচ্ছে কি না সেই নিয়েই চিন্তিত ছিল।” ওয়ার্ন বললেন ওয়া অধিনায়ক হওয়ার মানুষ হিসেবে পুরোপুরি বদলে গিয়েছিলেন। ৯৯-তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ওয়ার্নকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ন বললেন, “ক্যাপ্টেনসি পাওয়ার পর ওয়ার্ন পুরোপুরি বদলে যায়। আমাকে বাদ দিয়েছিল বলে কথাগুলো বলছি না। যদি আমি পারফর্ম করতে না-পারি তাহলে আমি বেরিয়ে যাব। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এখানে পারফরম্যান্সের বাইরেও অন্য ব্যাপার ছিল। আমার মনে হয় ও আমাকে হিংসা করত। ও আমার ডায়েট নিয়ে কথা বলত। এটাও বলত যে, আমি জীবনে কী হতে চাই, সেটা যেন ঠিক করে নিই। আমার আচরণ নিয়েও ওর প্রশ্ন ছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, বন্ধু তুমি নিজের ব্যাপারে ভাব।”
আরও পড়ুন: আইপিএল ২০১৮: কোন দুই ক্রিকেটারকে ভারতীয় দলের আগামীর নক্ষত্র বলছেন ওয়ার্ন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ার্ন একেবারেই ভাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন না। ১৩৪.০০-এর গড়ে প্রথম তিন টেস্ট মিলিয়ে দু’টি উইকেট পেয়েছিলেন। ব্রায়ান লারা ব্যাক-টু-ব্য়াক সেঞ্চুরি করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন। প্রথম টেস্টে ৩১২ রানে হেরেছিল ক্যারিবিয়ানরা। তৃতীয় টেস্টের সিরিজ জমে গিয়েছিল। চতুর্থ ও ফাইনাল টেস্টের আগে ওয়ার্নকে দলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন কোচ জিওফ মার্শ ও নির্বাচক অ্যালান বর্ডার। কিন্ত ভাইস-ক্যাপ্টেন ওয়ার্নকে না-নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়া। এমনটাই জানিয়েছেন ওয়ার্ন।