শ্যেন ওয়ার্নের মৃত্যু রহস্যাবৃত। এখনও জানা যায়নি কী কারণে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ লেগস্পিনার। তবে ব্রিটেন প্রবাসী এক ভারতীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক দাবি করছেন, মৃত্যুর ঠিক নয় মাস আগে mRNA করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওয়ার্নার। সেই ভ্যাকসিনের কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে তাঁর।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অসীম মালহোত্রা এবং অস্ট্রেলিয়ান পেশাদারি চিকিৎসক সংস্থার সভাপতি চিকিৎসক ক্রিস নিল জানাচ্ছেন, ওয়ার্নের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে হৃদরোগের ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁদের বক্তব্য, mRNA ভ্যাকসিন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি এমনই তথ্য সামনে এসেছে তাঁদের হাতে। বিশেষ করে যাঁদের অল্প হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই করোনার টিকা মারাত্মক হতে পারে।
গত বছর মার্চে ছুটি কাটাতে গিয়ে শ্যেন ওয়ার্ন হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হোটেল রুমে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওয়ার্নকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক মালহোত্রা বিশেষ এক জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, এই করোনার টিকা নেওয়ার বেশ কয়েকমাস পর্যন্ত শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে ছোটখাটো পরিবর্তন ঘটতেই থাকে। যেখান থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
mRNA ভ্যাকসিনকে বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জানিয়েছেন ডক্টর মালহোত্রা। বলেছেন, "আপদকালীন হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মক পর্যায়ে বেড়ে যায় এই ভ্যাকসিন নিলে। অস্ট্রেলিয়া তো বটেই গোটা বিশ্বজুড়ে যে মৃত্যু মিছিল চলেছে, তাতে mRNA ভ্যাকসিনের হাত রয়েছে। এতে আমার কোনও সংশয়ই নেই। জরুরিকালীন ভিত্তিতে এই করোনা টিকা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উপযুক্ত তদন্তের ব্যবস্থা করা হোক।" ডক্টর মালহোত্রার গবেষণায় পুরোপুরি সায় রয়েছে অজি চিকিৎসক ক্রিস নিলেরও।
আইপিএল খেলে যাওয়া ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার দিমিত্রি মাসকারেনহাস বন্ধু ওয়ার্নের মৃত্যুর এই কারণ জেনে মর্মাহত। তিনি জানিয়েছেন, "শ্যেন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। শুনে খুব খারাপ লাগছে যে ওঁর মৃত্যু আটকানো যেত। যদি ও কোভিড ভ্যাকসিন না নিত, তাহলে হয়ত এখনও জীবিত থাকত। ও কখনই চাইত না বাকিরা যাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ওপরে অস্ট্রেলিয়া এবং গোটা বিশ্বজুড়ে যে নিষিদ্ধ করার আওয়াজ উঠেছে, তাতে আমার পুরোপুরি সায় রয়েছে।"
ব্রিটেনে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি এন্ড্রু ব্রিজেনও পুরোপুরি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগের ওপরে নিষেধাজ্ঞার ডাক দিয়েছেন।"
Read the full article in ENGLISH