জুন মাসেই আইসিসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ছিল শশাঙ্ক মনোহরের। তবে আপাতত আরো অতিরিক্ত দুই মাস তাঁকে এই পদেই থাকতে হবে। করোনার কারণে আইসিসির বোর্ড মিটিং পিছিয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আপাতত দায়িত্বে শশাঙ্ক মনোহর।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস আসতে চলেছেন শশাঙ্ক মনোহরের জায়গায়। প্রাক্তন বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মনোহর আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি সরে দাঁড়াতে চান।
আইসিসির এক কর্তা পিটিআইকে জানান, "বিশ্বের পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখলে জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা হওয়ার সম্ভবনা প্রায় নেই। তাই শশাঙ্ক মনোহর যে আরো দু মাস চেয়ারম্যান থাকবেন, তা বলাই যায়। সম্ভবত অগাস্ট মাসে আইসিসি নতুন চেয়ারম্যান পেতে চলেছে।"
চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিসিসিআইয়ের সঙ্গে প্রায় ই সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। বোর্ডের এক কর্তা বলছেন, "যতদিন না শশাঙ্ক মনোহর সরে দাঁড়াচ্ছে, ততদিন কিছু বলা যাবে না। ওর এখনো মেয়াদ শেষ হয়নি। তাই শেষ মুহূর্তে যদি নিজের মত বদলে ফেলে তাহলে অন্যরকম গল্প হয়ে যাবে।"
জানা গিয়েছে, হংকংয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খোয়াজার নাম প্রাথমিকভাবে ভেসে উঠেছিল। তবে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশগুলি রাজি হয়নি। তখনই নাম উঠে আসে কলিন গ্রেভসের। চলতি বছরের নভেম্বরেই ইসিবির চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে গ্রেভসের। তার পক্ষে আইসিসির সমস্ত সদস্য দেশগুলোর সমর্থন রয়েছে।
বিসিসিআইয়ের সেই কর্তা জানিয়েছেন, "ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রেভসের মনোনয়নে সমর্থন করবে। গ্রেভসের সঙ্গে বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়েরও সম্পর্ক ভালো। যদিও বিসিসিআই এখনো সরকারিভাবে কাউকে সমর্থন করার কথা জানায়নি।"
বিসিসিআই আশা করছে গ্রেভস নিশ্চয় মনোহরের মতো তাদের হতাশ করবে না। গ্রেভসের জায়গায় ইসিবির চেয়ারম্যান হচ্ছেন এফএ র প্রাক্তন চিফ একজিকিউটিভ ইয়ান হোয়াটমোর।