জাতীয় দলের জার্সিতে একসময় নির্ভরযোগ্য ওপেনার ছিলেন। বহু ম্যাচে দেশকে ভালো গোড়াপত্তন উপহার দিয়েছেন। সেই শিবসুন্দর দাস-কেই এবার মহিলা জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হল। মহিলা দলের আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে ব্যাটিং কোচের ভূমিকা পালন করবেন তিনি। এনসিএ-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এতদিন। এবার সেই অভিজ্ঞতাই জাতীয় দলের কোচিংয়ের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর শিবসুন্দর দাস।
২০০০-২০০২ সালের মধ্যে জাতীয় দলের জার্সিতে ২২টি টেস্ট খেলেছেন। ৩৫-এর কাছাকাছি ব্যাটিং গড় নিয়ে ১৩০০-র ওপর রানও করেন। হাঁকিয়েছেন ২টো শতরান সহ ৯টা হাফসেঞ্চুরিও। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গেই এনসিএ-তে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন এতদিন।
আরো পড়ুন: করোনার টিকা নিতে অস্বীকার করেন কোহলিরা, আইপিএল বন্ধের পরেই ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য
জাতীয় দলে নিযুক্ত হওয়ার পরই শিবসুন্দর পিটিআই-কে জানিয়ে দেন, "দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। জাতীয় দলে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। গত ৪-৫ বছর ধরেই এনসিএ-র সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এর মধ্যে দু-বছর ধরে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছি। আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য রাহুল দ্রাবিড় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
প্রসঙ্গত, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই শিবসুন্দর দাস জাতীয় দলে খেলেছেন। ২০০২ সালে সৌরভের নেতৃত্বেই শিবসুন্দর দাস ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। সেই সফরেই ফার্স্ট ক্লাস ট্যুর গেমে ওড়িশার প্রাক্তন এই ক্যাপ্টেন ২৫০ হাঁকিয়েছিলেন। আর এবারেও তিনি চলেছেন ইংল্যান্ড সফরে, কোচ হিসেবে।
সেই স্মৃতি মনে করেই শিবসুন্দর জানিয়েছেন, "ওটাই ছিল সেই সফরে আমার সেরা স্কোর। ইংল্যান্ডে আন্তর্জাতিক হোক বা লিগ ক্রিকেট- প্রচুর খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওখানকার কন্ডিশন সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল আমি। সেই অভিজ্ঞতাই আমি ক্রিকেটারদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব। এনসিএ এবং জাতীয় দলে কোচিং করানোর মধ্যে সেরকম কোনো তফাৎ নেই। দিনের শেষে ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় ইস্যু সমাধান করা, নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়াটাই করতে হয়।"
বহু বছর পর মহিলা ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। শিবসুন্দর দাস অবশ্য আশাবাদী, ক্রিকেটাররা দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সেরাটা উপহার দেবে। "অনেকদিন পর টেস্টে নামার সুযোগ পেয়ে মেয়েরা মাঠে নামতে মুখিয়ে। ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজের মত সিনিয়ররা জাতীয় দলের হয়ে বহু ম্যাচ খেলায় ওঁরা তাড়াতাড়িই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। আর কীভাবে ইনিংস বিল্ড আপ করতে হয়, টানা বোলিং করে কীভাবে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বজায় রেখে যেতে হয়, সেটা নতুনরাও শিখবে। এতে সবমিলিয়ে খেলাটারই উন্নতি হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন