করোনা মোকাবিলায় এবার হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই চালাক ভারত-পাক। এমনটাই বলছেন পাকিস্তানের স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। শত্রুতা ভুলে ভারত-পাক সংঘবদ্ধ হোক। তিনি চাইছেন।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের আর্জি, "ভারত যদি পাকিস্তানের জন্য ১০ হাজার ভেন্টিলেটর তৈরি করে। পাকিস্তান তা আজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণে রাখবে।"
করোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে শোয়েব আখতার ইন্দো-পাক ম্যাচ আয়োজনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন। তার বক্তব্য, এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ তহবিলের জন্য দুই দেশ তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলুক। বহু দিন দুই প্রতিবেশি দেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। তবে আখতারের প্রস্তাব, "এই সংকটের মুহূর্তে তিনটি ওডিআইয়ের সিরিজ খেলা হোক। এই প্রথমবার খেলার ফলাফল নিয়ে কোনো দলের সমর্থকই হতাশ হবে না। তবে আমরা কেবল প্রস্তাব দিতে পারি। বাকিটা দেখার দ্বায়িত্ব দুই দেশের সরকারের।"
শোয়েব বলেছেন, "যদি বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি হাকায় আমরা খুশি হবো। বাবর আজম শতরান করলে ইন্ডিয়া খুশি হবে। দুই দেশই দুই দেশের জন্য খেলবে। এই ম্যাচ থেকে যে অর্থ উঠবে তা দুই দেশের সরকার করোনা মোকাবিলায় ভাগ করে নিক। গোটা বিশ্ব এই ম্যাচ দেখবে। এই ম্যাচের মাধ্যমে অনেক অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব। কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের চরিত্র এতে প্রকাশ পাবে।"
যুবরাজ সিং ও হরভজন সিং কিছুদিন আগেই শাহিদ আফ্রিদির ফান্ডে অর্থ সাহায্যের আবেদন করে সমালোচিত হয়েছেন। আখতার অবশ্য দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। জানাচ্ছেন, "ওদের সমালোচনা করা অমানবিক। দেশ কিংবা ধর্ম নয় এই মুহূর্তে মানবিকতাকে আগে রাখতে হবে।"
ভারতে ধারাভাষ্য দেওয়ার স্মৃতি এনে শোয়েব জানিয়েছেন, "ভারতীয়দের কাছে যে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আজীবন আমি কৃতজ্ঞ। প্রথমবার জানাচ্ছি ভারতে যা অর্থ উপার্জন করেছি তার ৩০ শতাংশ টিভির অল্প উপার্জনকারী ব্যক্তিদের দান করেছি।"
মুম্বইয়ের বস্তি এলাকায় তিনি যে দান করেছেন সে কথা জানিয়ে বলেছেন, "ধারাভি ও সিয়ন এলাকায় আমার সতীর্থদের কাছে গিয়েছি।"