বড়সড় বিপাকে পড়লেন শোয়েব আখতার। লাইভ সম্প্রচারের সময় সঞ্চালক নৌমান নিয়াজের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর পরে ১০০ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণের নোটিশ ধরানো হল আখতারকে। ভারতীয় মুদ্রায় যে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ৩৩ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। পাক টিভি চ্যানেলে ঝামেলার পরেই বিশ্লেষকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান স্পিডস্টার। তার প্রেক্ষিতে চ্যানেল বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। সেই কারণেই অবশেষে শোয়েবকে বড়সড় জরিমানার নোটিশ পাঠিয়েছে সংশ্লিস্ট চ্যানেল।
তবে শোয়েব তারপরে হুঙ্কার ছেড়েছেন পিটিভিকে উদ্দেশ্য করে। রবিবার টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শোয়েব জানান, পাক মিডিয়া হাউস থেকে তিনি ক্ষতিপূরণের নোটিশ পেয়েছেন। তবে জরিমানার অঙ্ক গোনার বদলে শোয়েব আইনি পথেই পিটিভিকে জবাব দিতে চান। তারকা জানান, তাঁর হয়ে আদালতে লড়াই করবেন আইনজীবী সালমান নিয়াজি।
আরও পড়ুন: ঘাড় ধরে টিভি চ্যানেল থেকে বিতাড়িত! ভয়াবহ অপমানে কুঁকড়ে গেলেন শোয়েব, দেখুন ভিডিও
শোয়েব নিজের টুইটারে লেখেন, "ভীষণই হতাশ। পিটিভিতে কাজ করার জন্য নিজের সম্মান রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে এখন আমাকে রিকভারি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি পথে আমার আইনজীবী সালমান নিয়াজি বিষয়টি দেখবেন।"
পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন পিটিভির পন্ডিতদের প্যানেল থেকে আখতার সরে দাঁড়ানোয় বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। 'গেম অন হ্যায়' শীর্ষক অনুষ্ঠানে শোয়েব শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের উঠে আসার জন্য লাহোর কালান্ডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছিলেন। তারপরেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে পিটিভি।
শোয়েব আখতার সেই ঘটনার পরে অভিযোগ করেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দুরন্ত জয়ের পরে টিভি চ্যানেলের সেটে তাঁর সঙ্গে তীব্র দুর্ব্যবহার করেন সঞ্চালক। তারপরেই জাতীয় দলের হয়ে ৪৬ টেস্ট এবং ১৬৩ ওয়ানডে ম্যাচ খেলা শোয়েব মাইক্রোফোন খুলে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপরে সঞ্চালক নৌমান নিয়াজ শোয়েবকে পুনরায় কল করার চেষ্টা করেননি। যথারীতি শোয়েবের অনুপস্থতিতে শো চালিয়ে যাওয়া হয়।
সমস্যার সূত্রপাত, সঞ্চালকের জিজ্ঞাসা করা একাধিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে মতামত না দিয়েই শোয়েব শো-এ হ্যারিস রউফের খুল্লামখুল্লা প্রশংসায় মগ্ন ছিলেন তারকা। পিএসএলের লাহোর কালান্ডার্স কীভাবে হ্যারিস রউফকে বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করেছে, তা নিয়েই টানা বলে চলেছিলেন শোয়েব। সেই সময় নৌমান বারবার থামাতে চাইলেও শোয়েব কার্যত পাত্তাই দেননি সঞ্চালককে।
তারপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে নৌমান জানিয়ে দেন, সঞ্চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে সীমা লঙ্ঘন করেছেন শোয়েব। তিনি যেন শো ছেড়ে চলে যান। টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনী বিরতির পর আরও নাটকের অবতারণা ঘটে। সেই সময় শোয়েব পাল্টা দাবি করতে থাকেন, নৌমান যেন ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পরেই শোয়েব বাকি সহ বিশ্লেষকদের জানিয়ে দেন তিনি পদত্যাগ করছেন।
এই ঘটনা এবার গড়াল আদালত পর্যন্ত। এই যুদ্ধে কে শেষ হাসি হাসবে, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন