/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/Shoaib-Akhtar-Beamer-dhoni.jpeg)
ভুল করে হাত থেকে ছিটকে যাওয়া বলে নয়, বরং ধোনিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিমার ছুঁড়ে আঘাত করার অভিপ্রায় ছিল। এমনই চাঞ্চল্যকর খোলসা করলেন এবার শোয়েব আখতার। ২০০৬-এর ফয়জলাবাদ টেস্টের সময় এই কান্ড ঘটে।
ভারত রবিবারই মেগা ম্যাচে খেলতে নামছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই মহারণের আগেই শোয়েব স্বীকার করে নিলেন ভুল করেছিলেন তিনি। স্পোর্টস টক-এর এক ক্রিকেট আলোচনার শো-য়ে শোয়েব নিজের পুরোনো ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হলেন। শুধু ধোনিকে বিমার দেওয়াই নয়, ২০১০-এর এশিয়া কাপে হরভজনকে একইভাবে বিমার ছুঁড়ে আক্রমণ করেন পাক স্পিডস্টার।
আরও পড়ুন: এই তিন ছকেই খতম ভারত! পাকিস্তানকে শেষ মুহূর্তে মোক্ষম টোটকা শোয়েবের
স্পোর্টস টক-এর পোস্ট করা ইউটিউব ভিডিওর ১৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শোয়েবকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "আমি একই ভুল করি ফয়জলাবাদ টেস্টের সময়। ইচ্ছাকৃতভাবে ওঁকে বিমার ছুঁড়ে আহত করতে চেয়েছিলাম। ধোনি একজন দারুণ মানুষ। ওঁকে শ্রদ্ধা করি। পরে এই বিষয় নিয়ে মারাত্মক অনুশোচনা হয় আমার। ও দারুণ ব্যাটসম্যান। আমার বোলিংয়ে বেশ কিছু রান তুলেছিল। কেন যে ওঁকে আক্রমণ করতে গেলাম! যদি বল ওঁর গায়ে লাগত ও ভয়ংকরভাবে আহত হতে পারত।"
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে সেই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ধোনি ১৪৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে যান। ১৯ বাইন্ডারি ৪ ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ধোনির ইনিংস রেয়াত করেনি কোনও পাক বোলারকেই। একটা সেশনে ধোনির কাছে তুমুল মার খাওয়ার পরে বল ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেন শোয়েব।
ইউটিউবে একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এই পুরোনো ভিডিও দেখলে এখনও দর্শকদের গা শিউরে ওঠে। ধোনি ভাগ্যের জোরেই ১৫৬ কিমি গতির বিমার থেকে রক্ষা পান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিমার একদমই নিষিদ্ধ। মাঝে মাঝে বোলারদের হাত ফস্কে অবশ্য বিমার বেরিয়ে যায়। তবে তখন বোলারকে রীতিমত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয় সংশ্লিস্ট ব্যাটসম্যানের কাছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সেই বলও অবৈধ বলে গণ্য করা হয়। যদিও শোয়েব আখতার দাবি করেছেন, ইচ্ছা করেই তিনি ধোনিকে মারণ-বিমার দিয়েছিলেন। যাতে তিনি আহত হন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে শোয়েব আখতার ক্রিকেট চ্যাট শো-এ বিতর্কিতভাবে দ্বিজাতি তত্ত্বের পক্ষেও সওয়াল করে যান। বলে দেন, "খুব বেশি বিশদে যাব না। দ্বিজাতি তত্ত্ব নিয়ে বিশাল ইতিহাস রয়েছে। আমরা এই থিওরিতে বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাসে আমরা অটল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন