সলমন খানের ৫ বছরের কারাবাস হয়েছে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায়। বলিউড স্টারের সাজা ঘোষণা শোনার পর মন ভালো নেই তাঁর বন্ধু শোয়েব আখতারের। কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্টবোলার শুক্রবার ট্য়ুইট করে সে কথা জানিয়েছেন। রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসের মতে এই শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
১৯৯৮-তে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ মারার অভিযোগে গত বুধবার ৫ বছরের কারাবাসের সাজা পেয়েছেন সলমন। জামিন না-পাওয়া পর্যন্ত যোধপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারই সলমনের সাময়িক আস্তানা। সলমনের পাশে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষই এসে দাঁড়িয়েছেন। শোয়েবও ব্যাতিক্রম নন। তিনি ট্য়ুইটারে লিখলেন, “খুব খারাপ লাগছে, আমার বন্ধু সলমনের ৫ বছরের জেল হয়ে গেল। কিন্তু আইন আইনের পথেই চলবে। ভারতের বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাও আমার মনে হচ্ছে, শাস্তিটা একটু কঠোর হয়ে গেল। সলমনের পরিবার আর ফ্যানের সঙ্গেই আমার হৃদয় রয়েছে। আমি নিশ্চিত ও দ্রুত ছাড়া পাবে ।’’
সলমনকে বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইনের ধারা ৯/৫১-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পাশাপাশি ১০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়। তাঁকে রাখা হয়েছে হত্যা এবং যৌন নির্যাতনে সাজাপ্রাপ্ত আশারাম বাপুর পাশের সেলে। শ্যুটিং চলাকালীন শিকার করার ইন্ধন যোগানোর অভিযোগ রয়েছে সইফ আলি খান, নীলম, তব্বু ও সোনালি বেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ভাইজানের ৫ বছরের কারাদণ্ড হলেও, অন্য চার অভিযুক্ত সইফ আলি খান, নীলম, তব্বু ও সোনালি বেন্দ্রে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সলমনের জেলবাস ছিল নেহাতই অনাড়ম্বর। এদিন সকালে সলমনের আইনজীবীরা ৫১ পাতার একটি জামিনের আবেদন করেছেন যোধপুর সেশনস কোর্টে। সলমনের জামিনের দিকেই তাকিয়ে তাঁর আপামোর ফ্যানেরা। এখন দেখার কবে জেলের বাইরে আসেন তিনি! প্রতীক্ষায় শুভানুধ্য়ায়ীরা।