আইসিসি ক্রিকেটকে শেষ দশ বছরে সাফল্যের সঙ্গে ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন ভাষাতেই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে বেনজিরভাবে আক্রমণ শানালেন শোয়েব আখতার। ইএসপিএন এ পডকাস্ট চলাকালীন সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে পাক তারকা জানিয়ে দেন, "আমি তোমাকে কঠোর ভাষায় কিছু বলতে পারি? আইসিসি ক্রিকেটকে শেষ করে দিচ্ছে। আমি সরাসরি বলছি, শেষ দশ বছরে আইসিসি ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি তো বলব, আপনারা দারুণ কাজ করেছেন। যা ইচ্ছা হয়েছে আপনারা সেটাই করে দিলেন!"
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যেভাবে ব্যাটসম্যানদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে রাগ প্রকাশ করতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটান রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
তাঁর বক্তব্য, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওভারপিছু বাউন্সারের সংখ্যা বাড়ানো হোক। কারণ দুটো নতুন বলে খেলা হয়। আর সার্কেলের বাইরেও মাত্র চারজন ফিল্ডার থাকতে পারে। শোয়েব দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাচ্ছেন, "আমি তো বারবার বলছি বাউন্সার নিয়মে পরিবর্তন আনা হোক। ম্যাচে দুটো নতুন বল থাকছে। সার্কেলের বাইরেও চারজনের বেশি থাকতে পারবে না। আইসিসিকে জিজ্ঞাসা করা হোক, শেষ দশ বছরে খেলার মান বেড়েছে না কমেছে। শচীন বনাম শোয়েব কনটেস্ট এখন কোথায়!"
শচীনের প্রসঙ্গ এলেই শোয়েব জানাচ্ছেন, "শচীনের সঙ্গে কখনই আক্রমণাত্মক হতাম না। কারণ ওঁর প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা। তবে কখনও কখনও ওকেই বোকা বানাতে চেয়েছি। যেমন ২০০৬ এর পাকিস্তান সফর। আমি জানতাম শচীনের টেনিস এলবো রয়েছে। ও হুক অথবা পুল মারার পথে হাঁটবে না। তাই ওকে পরের পর বাউন্সার দিয়ে শান্ত রেখেছিলাম।"
বিরাট কোহলিও তাকে খেলতে সমস্যায় পড়ত এক্সপ্রেস গতির জন্য। এমনটা জানাচ্ছেন সুপারস্টার পেসার, "আমি ওর বিরুদ্ধে ক্রিজের চওড়া অংশ ব্যবহার করে ড্রাইভ করাতে চাইতাম। যেটা জেমস আন্ডারসন ওর বিপক্ষে করে থাকে।" সেই সঙ্গে তিনি আরো জানাচ্ছেন, ওয়াসিম আক্রম, শেন ওয়ার্ন কিংবা ওয়াকার ইউনিসদের বিরুদ্ধে খেললে কোহলির শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আরো নিঃসংশয় হওয়া যেত।
পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান বোলারদের সম্পর্কে উছ্বসিত নন তিনি। বরং মঞ্জরেকরকে।তিনি জানালেন, "পিসিবিতে আমার মত লোকের থাকা উচিত। আমি সত্যিকারের ফাস্ট বোলার তৈরি করতাম। ফাস্ট বোলারদের চিতার মত হওয়া প্রয়োজন যে নিজের শিকারকে তাড়া করতে পারবে। টেকনিক, ব্যবহার, শিক্ষা, ডায়েট সবকিছু নিয়ে আমি দ্বায়িত্বে থাকলে একডজন পেসার বানিয়ে ফেলতাম। ফাস্ট বোলারদের নিজস্ব ব্র্যান্ড থাকা প্রয়োজন।"