গতিতে ঝড় তুলতেন নিয়মিত। পাকিস্তানের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে বোলিংয়ে আগুন ঝরাতেন তারকা। প্রায় দেড় দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ময়দানে খেলা স্পিডস্টার ব্যাটসম্যানদের কাছে ছিলেন মূর্তিমান বিভীষিকা। এমনকি তাঁর অতিরিক্ত পেসে বহু ব্যাটসম্যান ক্রিজে আহত হয়েছেন।
স্পোর্টসক্রীড়ায় এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার জানিয়েছেন, পুরনো এক ঘটনার স্মৃতি। একসময় শচীনকে আউট করার জন্য নয়, বরং তাঁকে আহত করার উদ্দেশ্য নিয়েই বোলিং করতেন তিনি। ২০০৬ সালে ভারত পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল। সেই সময় করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে তৃতীয় টেস্টে খেলতে নামে দুই দল। সেই ম্যাচেই নাকি এই অশুভ উদ্দেশ্য মনে চেপে আবির্ভূত হয়েছিলেন পাক স্পিডস্টার।
আরও পড়ুন: হরভজনকে সুযোগ না দিলে নেতৃত্ব হারাতেন সৌরভ! বিষ্ফোরক বয়ানে একী বললেন ভাজ্জি
"প্ৰথমবার এমন ঘটনা সর্বসমক্ষে জানাতে চলেছি। সেই টেস্ট ম্যাচে শচীনকে ইচ্ছাকৃতভাবে আহত করতে চেয়েছিলাম। যে কোনও উপায়ে শচীনকে আঘাত দিতে হবে, এমন মনোবাসনা নিয়ে মাঠে নামি। ইনজামাম আমাকে বারবার উইকেটের সামনে বোলিং করতে বলছিল। তবে আমি শচীনকে ইনজুরিতে ফেলতে চাইছিলাম। একবার হেলমেটে বল আছড়ে ফেলি। ভেবেছিলাম, এতেই কাজ হবে। পরে যখন ভিডিও দেখি, বুঝতে পারি শচীন কীভাবে নিজের মাথা বাঁচিয়েছিল।" জানান শোয়েব।
তিনি আরও জানান, তাঁর ব্যাটসম্যানদের আঘাত দেওয়ার ইচ্ছা জারি থাকলেও, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিব্রত করে চলেছিলেন মহম্মদ আসিফ। শোয়েব জানাচ্ছিলেন, "হেলমেটে হিট করার ওরে শচীনকে আবার আঘাত দিতে চাইছিলাম। তবে অন্যপ্রান্তে ভারতীয় ব্যাটিংকে তুর্কি নাচন নাচাচ্ছিল আসিফ। সেদিন আসিফ যে নিখুঁত লেংথে বোলিং করছিল, সেরকম আগে কখনও দেখিনি।"
আরও পড়ুন: এক ওভারে ছয় ছক্কা! ভারতীয় ব্যাটসম্যানের কীর্তিতে তছনছ সমস্ত রেকর্ড, দেখুন দাউদাউ ভিডিও
করাচি টেস্টের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন ইরফান পাঠান। যিনি হ্যাটট্রিক করে যান। বাঁ হাতি ভারতীয় পেসার প্ৰথমে সালমান বাটকে আইট করেন। তারপরে তাঁর বোলিংয়ের শিকার হন পাকিস্তানের দুই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইউনিস খান এবং মহম্মদ ইউসুফ। তবে ইরফানের হ্যাটট্রিক সত্ত্বেও ভারত সেই টেস্টে ৩৪১ রানে পরাজয় বরণ করে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারত হারে ০-১ ব্যবধানে।